রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী থেকে নিখোঁজের ১০ দিন পর পরিবারের কাছে ফিরলেন সেই তিন কলেজছাত্রী।
শনিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী থানার উপপরিদর্শক (নিরস্ত্র) সজিব খান জানান, তিন শিক্ষার্থীকে তেজগাঁও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার থেকে আদালতে হাজির করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন তিনি।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম মইনুল ইসলাম তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের পরিবারের জিম্মায় দেয়ার আদেশ দেয় আদালত।
তদন্ত কর্মকর্তা সজিব খান বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে মিরপুরের পল্লবী থেকে তিন কলেজছাত্রী ‘নিখোঁজ’ হন। তারা বাসা ছেড়ে বের হওয়ার সময় নগদ টাকা, অলংকার ও নিজেদের সার্টিফিকেট নিয়ে যান। দীর্ঘ সময় বাসায় না ফেরায় পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। কোনো সন্ধান না পাওয়ায় পল্লবী থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
দুই দিনেও তাদের সন্ধান না পাওয়ায় শনিবার রাতে চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
এই মামলায় গ্রেপ্তার চারজন হলেন মো. তরিকুল্লাহ, মো. রকিবুল্লাহ, জিনিয়া ওরফে টিকটক জিনিয়া রোজ ও শরফুদ্দিন আহম্মেদ অয়ন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, তারা লোক মারফত জানতে পারেন ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টার দিকে পল্লবী ১০ নম্বর সেকশনের প্যারিস রোডের কাইল্লার মোড় উত্তর পাশের পাকা রাস্তা থেকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে তাদের উঠিয়ে নেয়া হয়।
পরিবারের ধারণা, তাদের অপহরণ করা হয়েছে।
এ মামলায় এজাহারনামীয় চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগেই আটক করেছিল পুলিশ। পরে তাদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
পল্লবী থানার ওসি পারভেজ ইসলাম বলেন, ‘গ্রেপ্তার চারজনের কাছ থেকে তিন শিক্ষার্থী নিখোঁজসংক্রান্ত নানা তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেপ্তার চারজনের সাত দিন করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
এ ঘটনায় নিখোঁজ এক শিক্ষার্থীর বড় বোন পল্লবী থানায় ৩ অক্টোবর রাতে অপহরণ মামলা করেন।
গত বুধবার ভোরে মিরপুর বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে ওই তিন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে র্যাব। পরে তাদের তেজগাঁও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়।