মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে সোমবার শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এ বছর নারায়ণগঞ্জে দুর্গোৎসব হবে ২১৩টি মণ্ডপে। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
মণ্ডপসংশ্লিষ্টরা বলছেন, শারদীয় দুর্গোৎসবের আয়োজন শেষের দিকে। দুর্গা আসছেন অন্ধকারাচ্ছন্ন পৃথিবীকে আলোকিত করতে। ঢাক, ঢোল, শঙ্খ ও উলুধ্বনি দিয়ে দেবীদুর্গাকে বরণ করে নিতে অপেক্ষা করছেন ভক্তরা।
প্রতিমা শিল্পীরা দিনরাত দুর্গা, সরস্বতী, লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক, অসুর, সিংহসহ অন্য প্রতিমা সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মণ্ডপগুলোতে বাহারি রঙের আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে। উলু দিয়ে চণ্ডীপাঠ, পূজা-অর্চনা, আরতি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজন থাকছে মণ্ডপগুলোতে।
করোনার প্রাদুর্ভাবে সরকারিভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন হবে। এ বছরও পূজার জাঁকজমকতা থাকবে অনেকটা আড়ালে। ১৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনের উৎসব।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার জানান, আগে মণ্ডপগুলো জাঁকজমকপূর্ণ হতো, সেটা এবারও হবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজার আনুষ্ঠানিকতা হবে। এ বছর নারায়ণগঞ্জে ২১৩টি পূজামণ্ডপে হবে দুর্গোৎসব।
রোববার মহাপঞ্চমীর বোধন ঘট স্থাপন করে পূজা শুরু হবে।
হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি লিটন চন্দ্র পাল বলেন, ‘এবার বিশ্ব করোনার প্রাদুর্ভাব থেকে মুক্তি পাক মায়ের পূজার মধ্য দিয়ে, আমরা তাই চাচ্ছি। মণ্ডপগুলোতে যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভক্তদের আগমন ঘটে, আমরা সেই আহ্বান করছি।’
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে মণ্ডপগুলোতে তিন স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। প্রতিটি পূজামণ্ডপে পুলিশের পাশাপাশি আনসার বাহিনীর মোতায়েন থাকবে।
জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, করোনার প্রকোপ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনের জন্য পূজা উদযাপন কমিটিগুলোকে বলা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও প্রশাসনের পক্ষে থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করবেন।