বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তিনজনের অর্ডার ২৩ বাইক

  •    
  • ৮ অক্টোবর, ২০২১ ২১:২৪

আবদুল্লাহ খান শৈশব নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অনেক দিন ঘুরে টাকা চাইছি, কিন্তু টাকা দেয় নাই। লাভ ছাড়া আমাদের ন্যায্য টাকা চাইছি, তারা সেটাও দেয় নাই। তাই বাধ্য হয়ে মামলা করছি।’

ই-কমার্স সাইট কিউকম ডটকম থেকে অফারে তিনজনে অর্ডার করেন ২৩টি মোটরসাইকেল। দীর্ঘদিন পেরুলেও কোনো বাইক হাতে পাননি তারা। বারবার যোগাযোগের পর আশ্বাস ছাড়া মেলেনি বাইকের চাবি।

অবশেষে সে ২৩টি বাইকের তিন গ্রাহকের একজন আবদুল্লাহ খান শৈশব বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় কিউকমের হেড অফ সেলস এবং কমিউনিকেশন অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন অফিসার আরজে নিরবসহ ছয়জনের নামে করেন প্রতারণার মামলা।

ওই মামলায় শুক্রবার আরজে নিরবকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বিভিন্ন তারিখে শৈশব ও তার সঙ্গে আরও দুজন মিলে ২৩টি মোটরসাইকে অর্ডার করেন। এসব কিনতে তাদের খরচ করতে হয় ৫৬ লাখ ৫৭ হাজার ৬৮৯ টাকা।

এসব বাইকের মধ্যে রয়েছে ইয়ামাহা আরওয়ানফাইভ ভার্সন থ্রি, বাজাজ পালসার ১৫০সিসি, বাজাজ প্লাটিনা ইএস ১০২ সিসি ও এফজেড ভার্সন থ্রি মডেলের বাইক।

মোবাইল ফোনে মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল্লাহ খান শৈশব নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অনেক দিন ঘুরে টাকা চাইছি, কিন্তু টাকা দেয় নাই। লাভ ছাড়া আমাদের ন্যায্য টাকা চাইছি, তারা সেটাও দেয় নাই। তাই বাধ্য হয়ে মামলা করছি।

তার দাবি, ‘কাউকে ফাঁসানোর উদ্দেশে নয়, আমরা আমাদের পাওনা টাকা পেতেই মামলা করেছি।’

তিনি একা, নাকি বাইক কেনায় আরও কেউ ছিল তার সঙ্গে জানতে চাইলে তিনি দাবি করেন, তারা তিন জনে ২৩টি বাইক কেনেননি। এতে আরও অনেকের বাইক রয়েছে।

শৈশব বলেন, ‘আমার গ্রামের অনেকে ই-কমার্স বুঝে না। তারা আমার মাধ্যমে কিনেছেন। আমরা একেক জনে দুই-তিনটা করে কিনেছি।’

আপনারা কি ব্যবসা করতে চেয়েছিলেন? উত্তরে বলেন, ‘হ্যাঁ। সেটা তো সবাই করে ভাই।’

মামলার এজাহারে বলা হয়, কিউকমের বিজ্ঞাপন দেখে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তারা ফস্টারে পেমেন্ট নেয়। সেটাই তাদের পেমেন্ট গেটওয়ে। ফলে তাদের বিশ্বাস আরও বাড়ে। এমনকি কিউকমের অফিসে গেলেও তারা আস্থার সঙ্গে কেনাকাটা করার কথা জানান এবং সঠিক সময়ে পণ্য ডেলিভারি পাবেন।

এরপর শৈশব আরও দুইজনকে নিয়ে দুই জনের আইডি থেকে ১৭ জুন চারটি, ২১ জুন ১৩টি, ২২ জুন পাঁচটি ১৪ জুলাই একটি মোটরসাইকেল কেনেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, ফস্টারে পেমেন্টে ৩০ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দেয়ার কথা থাকলেও কিউকম তা দেয়নি। এখানে তারা করোনার বিষয়কে অজুহাত দিয়েছে। গ্রাহকরা তাদের কল সেন্টারে কল করলে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়। ১৫ আগস্টের পর থেকে আর কল সেন্টারে কেউ কলও রিসিভ করেনি বলে উল্লেখ করা হয় এজাহারে।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর কিউকমের অফিসে গেলে তারা গ্রাহকদের সঙ্গে মারমুখী আচরণ করে বের করে দেয়ার কথাও বলা হয় এজাহারে।

মামলা যাদের নামে

শৈশবের করা মামলায় কিউকমের মালিক রিপন মিয়া, সৈয়দা তাসমিনা তারিন, আইয়ুব আলী, হুমায়ুন কবির নিরব ওরফে আরজে নিরব, তানভীর চৌধুরী ভীর ও সাজেদুর রহমান সজিবের নাম উল্লেখ করা হয়।

এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা চার থেকে পাঁচ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় ৫৬ লাখ ৫৭ হাজার ৬৮৯ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

অবশ্য এর আগেও একটি মামলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির উচ্চপদের কর্তাদের নামে। ৪ অক্টোবর রাজধানীর পল্টন থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কিউকমের সিইও রিপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

এ বিভাগের আরো খবর