বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় এক জেলেকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগে করা মামলায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পাথরঘাটা থানায় বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে মামলা করেন আহত জেলের বাবা।
আহত জেলের নাম ফাইজুল ইসলাম। তার বাড়ি পাথরঘাটা উপজেলার বড় টেংরা এলাকায়। তার বাবার নাম ইসমাইল হোসেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম আবদুল খালেক। তার বাড়িও বড় টেংরা এলাকায়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টেংরা বন বিভাগের অফিসের সামনে ফাইজুলকে ছুরিকাঘাত করে খালেকের ছেলে মো. মোস্তফা।
পরে সেদিন রাতেই গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ফাইজুলকে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিউজবাংলাকে এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার।
ফাইজুলের পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, খালেকের ট্রলারে মাছ ধরে ফাইজুল ও তার ছোট ভাই মো.ফেরদৌস। চুক্তি অনুযায়ী ফাইজুল ও ফেরদৌসকে ৪৫০০ টাকা দাদন দেয়ার কথা ছিল খালেকের। কিন্তু ইলিশের মৌসুম শেষ হয়ে এলেও দাদনের ৫০০ টাকা পরিশোধ করেনি খালেক।
এ ছাড়া মাছ বিক্রির ভাগের টাকাও কম দেয়া হয় তাদের। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাওনা টাকা চাইলে ফাইজুলের সঙ্গে খালেকের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে খালেকের ছেলে মোস্তফা ঘটনাস্থলে এসে ফাইজুলকে ছুরিকাঘাত করে।
ফাইজুলের বাবা ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘খালেক তার ছেলে মোস্তফাকে ফোন করে ডেকে আনে। মোস্তফা এসেই আমার ছেলে ফাইজুলকে মারধরের পর ছুরিকাঘাত করে।’
ওসি আবুল বাশার জানান, মামলার অন্য আসামি মোস্তফা ঘটনার পর থেকে পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।