ঢাকার ধামরাই উপজেলায় ধর্ষণের মামলায় জামিনে মুক্ত আসামিরা বাদির বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তরুণীর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে রাজি না হওয়ায় হত্যার উদ্দেশ্যে বাড়ির দরজায় তালা দিয়ে আগুন দেয়া হয়।
এ ঘটনায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করতে বলেছে বলেও অভিযোগ তাদের।
মঙ্গলবার গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার তরুণীর বাড়িতে আগুন লাগার বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরাফাত উদ্দিন।
এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে তরুণীর বাবা কাওয়ালীপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্তরা হলেন ধর্ষণ মামলার আসামি ধামরাই উপজেলার কাওয়ালীপাড়া এলাকার সুমন হোসেন, তার ভাই শামীম হোসেন, আমজাদ হোসেন, সেলিম হোসেন ও তাদের ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীর হোসেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গত ৬ আগস্ট ওই তরুণীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করেন সুমন। ওই ঘটনায় ৮ আগস্ট সুমন ও তার তিন ভাইয়ের নামে মামলা করেন তরুণী।
এ মামলায় ৩১ আগস্ট জামিনে মুক্তি পাবার পর থেকেই আসামি শামীম ও সেলিম মামলা তুলে নিতে তাদের চাপ দিয়ে আসছিলেন। মামলা তুলে না নিলে হত্যারও হুমকি দেন তারা। এ ঘটনায় ১১ সেপ্টেম্বর একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে আসামিদের ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীর বাইরে থেকে তাদের বাড়ির দরজায় তালা দেন। পরে পাশের দোচালা টিনের ঘরে আগুন দেয় আসামিরা। ওই সময় চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন গিয়ে আগুন নিভিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
অবশ্য অভিযুক্তদের দাবি তারা আগুন দেননি। আসামি শামিম বলেন, ‘এসব মিথ্যা। আমাদের ফাঁসাতে ওরা নিজেরাই আগুন লাগিয়েছে।’
এ ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা না নেয়ার অভিযোগ তুলেছেন তরুণীর স্বজনরা।
এক স্বজন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার মামা ও তার পরিবারকে হত্যা করতে পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগানো হয়েছিল। আজ বিকেলে মামা ফাঁড়িতে গিয়ে অভিযোগ করেছেন। তবে পুলিশ মামলা না নিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করতে বলছে।’
এ বিষয়ে এসআই আরাফাত উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিকেলে অভিযোগ করেছেন এক ভুক্তভোগী। অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীর মেয়েকে ধর্ষণের আসামি।
‘আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। তবে কারা অগ্নিসংযোগ করেছে বিষয়টি তদন্ত না করে বলা সম্ভব নয়। আমরা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’
পুলিশ বিষয়টি মীমাংসা করতে বলেছে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন এ কর্মকর্তা।