বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দোকান দখলের পর ব্যবসায়ীকে হুমকির অভিযোগ

  •    
  • ৬ অক্টোবর, ২০২১ ২০:৩২

ব্যবসায়ী মাজহারুল বাশার মুস্তাকিম বলেন, ‘দোকানটি কেনার পর থেকেই পাশের পূর্বপাড়া এলাকার শরীফ মিয়া ও তার লোকজন আমাকে অন্যায়ভাবে দোকান থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা করছিলেন। এ বিষয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আমার কাগজপত্র দেখে সেগুলো ঠিক আছে বলে জানান। তবে শরীফ ও তার লোকজন সে কথা মানেননি।’

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার এক ব্যবসায়ীকে তার দোকান থেকে অবৈধভাবে উচ্ছেদ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এমনকি উচ্ছেদের পর তাকে নানাভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে পুলিশ বলছে, এসব অভিযোগ নিয়ে ওই ব্যবসায়ী কখনও থানায় আসেননি।

কিশোরগঞ্জ পৌর এলাকার অ্যাঞ্জেল কিন্ডারগার্টেন স্কুলের একটি কক্ষে বুধবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান পাকুন্দিয়ার হোসেন্দী বাজারের ব্যবসায়ী মাজহারুল বাশার মুস্তাকিম।

মাজহারুল উপজেলার হোসেন্দী নামাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। বাজারে তার একটি অটো ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের দোকান ছিল।

মাজহারুল জানান, ২০১৪ সালে মালিক নয়ন পালের কাছ থেকে দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করছিলেন তিনি। চলতি বছরের ৩১ মার্চ নয়ন ও তার স্ত্রী শেলী রানী পালের কাছ থেকে দোকানটি কিনে নেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘দোকানটি কেনার পর থেকেই পাশের পূর্বপাড়া এলাকার শরীফ মিয়া ও তার লোকজন আমাকে অন্যায়ভাবে দোকান থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা করছিলেন। এ বিষয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আমার কাগজপত্র দেখে সেগুলা ঠিক আছে বলে জানান। তবে শরীফ ও তার লোকজন সে কথা মানেননি।

‘একপর্যায়ে এ বিষয় নিয়ে পাকুন্দিয়ার ইউএনও রোজলিন শহীদ চৌধুরী দুই পক্ষকে ডেকে কাগজপত্র দেখে আমার পক্ষে মত দেন। সে সিদ্ধান্তও মানেননি শরীফ। ২৯ সেপ্টেম্বর রাত ৩টার দিকে শরীফ, তার দুই ভাই খসরু মিয়া, কাশেম মিয়াসহ বেশ কয়েকজন মিলে দোকানের তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। মালামালসহ ২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা নিয়ে নেন তারা। দখল করেন দোকানও।’

শরীফ মিয়া এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘মোস্তাকিম যে জায়গাটির বিষয়ে অভিযোগ করেছেন, আমি সেই জায়গাটি কিনেছি। এই জায়গার নামজারিও আমার নামেই হয়েছে। জোর করে দখল নয়, বরং জায়গাটি কেনার পর মালিকই আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছে।’

পাকুন্দিয়া থানার এসআই মিজানুর রহমান নিউজবাংলাকে জানান, মুস্তাকিমের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারোয়ার জাহান জানান, মাজহারুল তার অভিযোগ নিয়ে কখনোই থানায় আসেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর