বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সদস্যের ভাতা আত্মসাতের মামলা

  •    
  • ৬ অক্টোবর, ২০২১ ১৭:৫৪

লাকি বলেন, ‘চেয়ারম্যান ভয়ভীতি দেখাইয়া আমার ভাতা আত্মসাৎ করছে। কোনো কাজে আমারে ডাকে না। রেজ্যুলেশন হলেও আমি জানি না। কারো জন্মনিবন্ধন সনদে আমার সিল-সই থাকলে চেয়ারম্যান সেটা বাদ করে দেন। আমি একজন নির্বাচিত সদস্য হয়েও চেয়ারম্যানের রোষানলে পড়ে খুব অসহায় অবস্থায় আছি।’

কুমিল্লায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নারী সদস্যের সম্মানি ভাতা আত্মসাতের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে।

তবে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার ৯ নম্বর উত্তর হাওলা ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হান্নান ওরফে হিরুর দাবি, ওই সদস্য অফিস না করায় তাকে ভাতা দেয়া হয়নি।

আদালতের পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাউদ্দিন মাহমুদ নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, জেলা বিচারিক হাকিম আদালতে মঙ্গলবার দুপুরের পর মামলার আবেদন করেন ওই ইউপির ৭, ৮, ৯ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য লাকি মজুমদার।

বিচারক মিথিলা জাহান নীপার আদালত মামলাটি গ্রহণ করে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ২ নভেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় বলা হয়, লাকি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ২০১৬ সালের ১ জুন থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত মাসিক ৪ হাজার ৪ শ টাকা করে ২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা পান। এই টাকা তাকে দেয়া না হলে বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানান। তিনি তাকে নানা রকম ভয়ভীতি দেখান।

লাকি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি উপজেলা পরিষদ থেকে ঠিকই প্রতি মাসে ৩ হাজার ৬ শ টাকা করে সম্মানি ভাতা পাই। ইউপি আমারে দেয় না। চেয়ারম্যান ভয়ভীতি দেখাইয়া আমার ভাতা আত্মসাৎ করছে।

‘কোনো কাজে আমারে ডাকে না। রেজ্যুলেশন হলেও আমি জানি না। কারো জন্মনিবন্ধন সনদে আমার সিল-সই থাকলে চেয়ারম্যান সেটা বাদ করে দেন। আমি একজন নির্বাচিত সদস্য হয়েও চেয়ারম্যানের রোষানলে পড়ে খুব অসহায় অবস্থায় আছি।’

ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সত্যজিত বড়ুয়া বলেন, ‘এখনও মামলার কাগজপত্র আমার কাছে আসেনি। মামলার কাগজ পেলে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাওলার একাধিক ব্যক্তি জানান, এলাকার লোকজনের সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যানের সম্পর্ক ভালো না। তিনি নিয়মিত ইউপি কার্যালয়ে যান না। লোকজনের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। তার নামে চাঁদাবাজি ও কুপিয়ে জখম করার মামলা আছে। একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও আছে।

নারী সদস্যের টাকা আত্মসাতের বিষয়ে হিরু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তিনি অফিসে আসেন না। এ কারণে তাকে সম্মানি ভাতা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। বাকি অভিযোগ সত্য নয়।’

এ বিভাগের আরো খবর