প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে কক্সবাজারে প্রশিক্ষণ একাডেমি গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার ১১৯ ও ১২০তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রশিক্ষণের জন্য যাতে সুন্দর পরিবেশ হয়, সে জন্য কক্সবাজারে আমরা একটা ভালো জায়গা নিয়ে একাডেমি গড়ে তুলব। একাডেমি অফ পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন; জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে।’
তিনি বলেন, ‘যেটা একটা সুন্দর পরিবেশে…বিশ্বের সব থেকে লম্বা সি বিচ করছে বাংলাদেশে। বালুকাময় সি বিচ। এটা কিন্তু পৃথিবীতে খুব কম আছে। আমাদের এই সি বিচ কিন্তু লং সি বিচ। আমাদের লক্ষ্য আছে চট্টগ্রাম থেকে নিয়ে মেরিন ড্রাইভ গড়ে তুলব কক্সবাজারের টেকনাফ পর্যন্ত। সেই পরিকল্পনা রয়েছে।
‘আমরা চাই, প্রশিক্ষণ আপনার নেবেন। বিদেশ থেকে নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছি। দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে তা কাজে লাগাবেন।’
‘বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে করা সব রিপোর্ট সংগ্রহ করেছি’
পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে করা সব গোয়েন্দা রিপোর্ট সংগ্রহ করার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা সে সময় শুধু বঞ্চনার শিকার হয়েছি। একটা বাঙালি তখন সেক্রেটারি হতে পারেনি। আর সেনাবাহিনীতে আরও দুরাবস্থা ছিল। হয়তো একজন কর্নেল পর্যন্ত উঠতে পেরেছে। তার উপরে আর কেউ উঠতে পারিনি। এই বৈষম্যের শিকার আমরা ছিলাম।’
এসব বৈষম্যের কথা জাতির পিতা সবসময় তুলে ধরেছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের যে বাংলাদেশ, এটার নাম পর্যন্ত পরিবর্তন করা হয়েছিল। সেটার প্রতিবাদ তিনি করেছিলেন।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ১৯৪৮ সাল থেকে পাকিস্তানি গোয়েন্দারা যে সমস্ত রিপোর্ট তৈরি করেছিল…প্রতিনিয়ত তাকে অনুসরণ করত; তার বিরুদ্ধে রিপোর্ট দিত। তাকে রাজনীতি থেকে সরানোর জন্য অপপ্রচার করত।
‘সব রিপোর্ট সংগ্রহ করে ২০টি বছর এর ওপর আমি এবং আমার বান্ধবী বেবী মওদুদ সংগ্রহ করেছি।’