বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সেতু ভেঙে টিলায় আটকা ২০ পরিবার

  •    
  • ৫ অক্টোবর, ২০২১ ২০:৫২

ত্রিপুরা পল্লির হেডম্যান চিত্তরঞ্জন বর্মণ বলেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) ভোররাত থেকে বৃষ্টি শুরু হলে প্রবল স্রোতে ব্রিজটি ভেঙে গেছে। এ ছাড়া গোড়া থেকে মাটি সরে যাওয়ায় ব্রিজটি ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না।’

হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের একটি টিলায় ত্রিপুরা পল্লির যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম সেতুটি ভেঙে গেছে। বৃষ্টির পানির স্রোতে সেতু ও সংযোগ সড়ক ভেঙে বিপাকে পড়েছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ২০টি পরিবার। অনেকটা ‘টিলাবন্দি’ হয়ে পড়েছে তারা।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার ভোররাত থেকে হবিগঞ্জে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির পানিতে ত্রিপুরা পল্লির পাশের ছড়ায় প্রবল স্রোতের সৃষ্টি হয়। এতে ভেঙে যায় পল্লিতে যাতায়াতের একমাত্র সেতু ও সংযোগ সড়ক।

তারা আরও জানান, উদ্যোনের ছোট ওই টিলায় ২৪টি ত্রিপুরা পরিবার বসবাস করত। ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে কয়েক বছরে এই টিলার বেশ অনেকটা অংশ ভেঙে গেছে। গত দুই বছরে ভাঙনে বিলীন হয়েছে চারটি পরিবারের বসতভিটা। এতে তারা টিলা ছেড়ে অন্য স্থানে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।

পল্লির বাসিন্দাদের আশঙ্কা, ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে রাতেই পুরোপুরি ভেঙে পড়তে পারে সেতুটি।

সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন পল্লির বাসিন্দারা। টিলা থেকে প্রয়োজনীয় কাজে বের হতে পারছেন না তারা। আবার কেউ কেউ সেতুর নিচ দিয়ে প্রবল স্রোতের মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছেন।

ত্রিপুরা পল্লির হেডম্যান চিত্তরঞ্জন বর্মণ বলেন, ‘চার বছর ধরেই আমাদের টিলা ভেঙে পড়ছে। এরই মধ্যে চারটি পরিবারের বসতভিটা ভেঙে যাওয়ায় তারা টিলা ছেড়ে চলে গেছেন। আমরা বারবার আমাদের টিলাকে বাঁচানোর জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছি, কিন্তু এর কোনো সমাধান হচ্ছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) ভোররাত থেকে বৃষ্টি শুরু হলে প্রবল স্রোতে ব্রিজটি ভেঙে গেছে। এ ছাড়া গোড়া থেকে মাটি সরে যাওয়ায় ব্রিজটি ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না।’

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান বলেন, ‘ব্রিজটি ভেঙে গেলেও আমাদের পক্ষে কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না। আপাতত তারা ব্রিজের নিচ দিয়ে চলাচল করছেন। আমরা বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছি।’

এ বিষয়ে চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিদ্ধার্থ ভৌমিকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি। এসএমএস দিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

এ বিভাগের আরো খবর