চট্টগ্রামের খুলশীতে বিদ্যুতের টাওয়ারে খোকন নামের এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এখনও ধোঁয়াশায় রয়েছে পুলিশ।
চারদিন পেরিয়ে গেলেও ঘটনার কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলশী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আবছার।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘খোকন নামের ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদনে দেখা যায়, তার মুখে কাপড় গোজানো। মাথা ন্যাড়া ও দাড়ি সেভ করা। মুখের ভেতর কাপড় ও মাথা ন্যাড়ার কারণে আমরা এটা খুন বলে ধারণা করছি। আত্মহত্যা করলে মুখে কাপড় গোজানো থাকবে কেন?
‘আমরা এসব বিষয় সামনে রেখে এগোচ্ছি। ঘটনার পরদিন থেকে আজ পর্যন্ত সিনিয়র অফিসাররা প্রতিদিন ঘটনাস্থলে গিয়েছি, ওই এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলছি। কেউ কিছু বলছে না।’
তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নুরুল বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে এলাকার সবাই মিলে কিছু একটা লুকাচ্ছে। এভাবে মনে হওয়া থেকে তো সবাইকে চার্জও করতে পারি না। তবে খোকনের কল লিস্ট ধরে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি, কয়েকজনকে নজরদারিতে রেখেছি। দেখা যাক কী হয়।’
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে খুলশীর রূপসী পাহাড়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে খোকনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে সময় পুলিশ বলেছিল, খোকনকে হত্যার পর খুনিরা বৈদ্যুতিক টাওয়ায় ঝুলিয়ে রাখে।আরও পড়ুন: হত্যার পর বিদ্যুতের টাওয়ারে ঝুলিয়ে রাখল খুনি
৩০ বছর বয়সী খোকন ওই এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে। তিনি এলাকায় ইট বালুর ব্যবসা করতেন।
মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামান শাহিন বলেন, ‘মরদেহ দেখে মনে হয়েছে এটি কয়েকদিন পুরোনো। ময়নাতদন্তের জন্য তা চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। চারদিন আগে তিনি নিখোঁজ হয়েছিলেন।’
ঘটনার পরদিন খুলশী থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন খোকনের ছোটভাই আবদুল্লাহ বাবু।