বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তথ্য গোপনের মামলায় যুক্তিতর্ক শুরু হয়েছে।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক মো. শহিদুল ইসলামের আদালতে বৃহস্পতিবার মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়।
আসামি বাবরের পক্ষে আইনজীবী পিনাক রঞ্জন এদিন আংশিক যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।
বিএনপির এই নেতাকে শুনানিকালে আদালতে হাজির করা হয়। তার উপস্থিতিতেই যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন আইনজীবী।
আংশিক যুক্তিতর্ক শেষে বিচারক ৩ অক্টোবর বাকি অংশ উপস্থাপনের জন্য তারিখ ঠিক করে দেন।
বিচারক এর আগে ২১ সেপ্টেম্বর বাবরের বিরুদ্ধে দেয়া ৭ জনের সাক্ষ্য পড়ে শোনান। এ সময় বাবর নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন, আর সাফাই সাক্ষী দেবেন না বলে আদালতকে জানান।
এর পরই বিচারক যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের তারিখ ঠিক করে দেন। বৃহস্পতিবারের শুনানি শেষে বাবরকে আবার কারাগারে নেয়া হয়।
২০০৭ সালের ২৮ মে যৌথ বাহিনী আটক করে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে। রমনা থানায় তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের মামলাটি হয় ২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি।
মামলাটি করেন সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১-এর সহকারী পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম। তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৬ জুলাই দুদকের উপসহকারী পরিচালক রূপক কুমার সাহা আদালতে চার্জশিট দেন।
চার্জশিটে বাবরের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৫ লাখ ৯১ হাজার ৮৯৬ টাকার অবৈধ সম্পদ রাখার অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি দুদকে ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩১ হাজার ৩১২ টাকার সম্পদের হিসাব দাখিল করেছিলেন।
বাবরের অবৈধ সম্পদের মধ্যে প্রাইম ব্যাংক এবং এইচএসবিসি ব্যাংকে দুটি এফডিআর-এ ৬ কোটি ৭৯ লাখ ৪৯ হাজার ২১৮ টাকা এবং বাড়ি নির্মাণ বাবদ ২৬ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৮ টাকা গোপনের কথা উল্লেখ করা হয়।
একই বছরের ১২ আগস্ট আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।