বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জবির মাঠ থেকে মালপত্র গায়েব, মামলা না নেয়ার অভিযোগ

  •    
  • ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০৯:২২

গেণ্ডারিয়া থানার ওসি (তদন্ত) নূর আলম সিদ্দিক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টি থানাকে অবগত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কয়েকজন এসেছিলেন, তাই মামলা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় ও সিটি করপোরেশন সরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে হয়তো সিদ্ধান্তে আসবেন। তবে আমরা তদন্ত করছি। ’

রাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় মাঠ ধূপখোলা থেকে মালপত্র গায়েব ও নিরাপত্তাকর্মীকে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে।

মালপত্র উদ্ধারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুলিশের শরণাপন্ন হলেও দিনভর বসিয়ে রেখেও মামলা নেয়নি গেণ্ডারিয়া থানা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৬ সেপ্টেম্বর মাঠের বিশ্ববিদ্যালয় অংশে সীমানা প্রাচীরের লোহা ও গোলবার গায়েব হয়ে যায়। এ ঘটনায় পরের দিন সোমবার রাত ১০টার দিকে সিটি করপোরেশনের মেগাপ্রজেক্ট সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলছে রুবেল নামে জবির এক নিরাপত্তাকর্মী। ওই সময় তাকে আটকে রেখে মধ্যরাত ১২টার দিকে মোবাইল কেড়ে নেয়া হয়। পরে রাত ৩টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

এরপর মঙ্গলবার সকালে মালপত্র উদ্ধারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলা করতে কয়েকজন কর্মকর্তাকে গেণ্ডারিয়া থানায় পাঠায়। কিন্তু রাত ৯টা পর্যন্ত থানায় অপেক্ষার পরও পুলিশ মামলা না নেয়ায় থানা থেকে বেরিয়ে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার কামাল হোসেন, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক গৌতম কুমার দাসসহ আরও কয়েকজন।

সম্পত্তি শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার কামাল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মঙ্গলবার থানায় অনেকক্ষণ বসে ছিলাম। কিন্তু মামলা বা অভিযোগ কোনোটিই নেয়নি তারা। দুটি প্রতিষ্ঠানই সরকারি হওয়ায় পুলিশ মামলা নেবে না জানিয়েছে।

‘আমাদের চাওয়া হলো, তারা আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে, আমাদের জিনিসগুলো ফিরিয়ে দেবে।'

শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক গৌতম কুমার দাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের অনেক অনুরোধের পরও পুলিশ মামলা নেয়নি।’

জবির নিরাপত্তাকর্মীকে আটকে রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সীমানাপ্রাচীরের গ্রিলগুলো ফেরত আনতে কথা বলতে তাকে মেগাপ্রজেক্ট-সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠিয়েছিলাম। রাতের বেলা তাকে আটকে রেখে ফোন কেড়ে নেয়া হয়, যেন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারে। পরে গভীর রাতে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।’

মামলা না নেয়ার বিষয়ে গেণ্ডারিয়া থানার ওসি (তদন্ত) নূর আলম সিদ্দিক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টি থানাকে অবগত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কয়েকজন এসেছিলেন, তাই মামলা হয়নি।

‘বিশ্ববিদ্যালয় ও সিটি করপোরেশন দুটিই সরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে হয়তো সিদ্ধান্তে আসবেন। তবে আমরা তদন্ত করছি। ওসি স্যার বিস্তারিত বলতে পারবেন।’

এ বিষয়ে জানতে ওসি সুজা মিয়াকে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে তার দেহরক্ষী জানান।

এর আগে ২৬ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে ধূপখোলা মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশের সীমানাপ্রাচীর ও গোলপোস্ট তুলে ফেলে সংস্কারের দায়িত্বে থাকা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নিয়োজিত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।

এ বিভাগের আরো খবর