দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১ হাজার ৩১০ জনের দেহে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে মঙ্গলবার পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে এ পর্যন্ত করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১৫ লাখ ৫৩ হাজার ৮৭৩ জনের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৪৭০ জনের।
দেশের ৮১৫টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় ২৯ হাজার ১৮৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্ত বিবেচনায় এই হার ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ নিয়ে শনাক্তের হার টানা ৮ দিন ৫ শতাংশের নিচে থাকল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহ শনাক্ত ৫ শতাংশের নিচে থাকলে সে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে বিবেচনা করা হয়। সে হিসাবে করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশকে আরও এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।
গত মঙ্গলবার শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ, পরের দিন বুধবার ছিল ৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ। বৃহস্পতিবার ৪ দশমিক ৬১ এবং শুক্রবার ছিল ৪ দশমিক ৫৬। শনিবার শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৫৯ এবং রোববার সেই হার কমে দাঁড়ায় ৪ দশমিক ৪১ শতাংশে। সোমবার শনাক্তের হার ছিল চার ৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। সেই বছরের ডিসেম্বরে প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর মার্চে দেখা দেয় দ্বিতীয় ঢেউ। পরে ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি করে। মাস পাঁচেক পর পরিস্থিতি আবার নিয়ন্ত্রণের পথে। গত কয়েক দিন ধরেই ধারাবাহিকভাবে কমছে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা।
চলতি বছরের এপ্রিল, মে, জুন ও জুলাই মাসে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। একপর্যায়ে তা ৩০ শতাংশও হয়ে যায়। এ অবস্থায় এপ্রিলে লকডাউন ও পরে জুলাইয়ে দেয়া হয় শাটডাউন নামে বিধিনিষেধ। ১১ আগস্ট বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের পর থেকে করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু ধীরে ধীরে কমে আসছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষ ১৭, নারী ১৪ জন। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ। মৃতদের মধ্যে একটি শিশু রয়েছে। এ ছাড়া বিশোর্ধ্ব ১, ত্রিশোর্ধ্ব ১, চল্লিশোর্ধ্ব ৩, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৮, ষাটোর্ধ্ব ৫ ও সত্তরোর্ধ্ব ১২ জন।
বিভাগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ৫, রাজশাহীতে ২, খুলনায় ৫, বরিশালে ২, রংপুরে ২ ও ময়মনসিংহে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ১৯৫ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ১৩ হাজার ৮৭৬ জন। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৪৩।