চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে ২ ডিসেম্বর, চলবে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে শুধুমাত্র নৈর্বাচনিক বিষয়ে। অন্যান্য আবশ্যিক বিষয়ে আগের পাবলিক পরীক্ষার সাবজেক্ট ম্যাপিং করে মূল্যায়নের মাধ্যমে নম্বর দেয়া হবে।
এ ছাড়া, চতুর্থ বিষয়েরও পরীক্ষা নেয়া হবে না। নির্ধারিত দিনে সকাল ১০টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট এবং ২টা থেকে ৩টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এইচএসসি পরীক্ষার রুটিনও হাতে পেয়েছে নিউজবাংলা।
নিউজবাংলাকে সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন আন্তশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘২ ডিসেম্বর থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে, চলবে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। করোনার এ সময়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেয়া হবে।’
সাধারণত প্রতিবছর এপ্রিল মাসে উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা শুরু হলেও এ বছর করোনার এ পাবলিক পরীক্ষা ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে নেয়ার ঘোষণা দেয় সরকার।
এ ছাড়া, চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে ১৪ নভেম্বর; চলবে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এইচএসসির মতোই এসএসসি অনুষ্ঠিত হবে শুধুমাত্র নৈর্বাচনিক বিষয়ে। অন্যান্য আবশ্যিক বিষয়ে আগের পাবলিক পরীক্ষার সাবজেক্ট ম্যাপিং করে মূল্যায়নের মাধ্যমে নম্বর দেয়া হবে।
এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের দাখিল পরীক্ষা রুটিন প্রকাশ করে। এ পরীক্ষাও শুরু হবে ১৪ নভেম্বর থেকে, চলবে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত।
পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্দেশনা
০১. করোনা মহামারির কারণে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
০২. পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে।
০৩. পরীক্ষার সময় হবে ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। এমসিকিউ ও লিখিত পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না। পরীক্ষার দিন সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র এবং ওএমআর শিট বিতরণ করা হবে। সকাল ১০টায় বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্র বিতরণ। সকাল ১০.১৫ মিনিটে বহুনির্বাচনী উত্তরপত্র সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ।
০৪. দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনী শিট বিতরণ। দুপুর ২টা বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্র বিতরণ। দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে বহুনির্বাচনী উত্তরপত্র সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ।
০৫. পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর তিন দিন আগে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছ থেকে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। দেড় বছর পর ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয়েছে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।