মহামারির বছরে চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় করলেও লভ্যাংশ না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি সামিট পাওয়ার।
শেয়ার প্রতি সাড়ে ৩ টাকা বা ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। আগের দুই বছরও একই পরিমাণ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।
রোববার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাব পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত হয় বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন সামিট পাওয়ারের কোম্পানি সচিব স্বপন কুমার পাল।
তিনি জানান গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছে ৫ টাকা ২৫ পয়সা।
আগের বছর এই আয় ছিল ৫ টাকা ১৭ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ৮ পয়সা।
কেবল গত বছরের চেয়ে বেশি আয় নয়, সামিটের এই আয় গত চার বছরের মধ্যেই সর্বোচ্চ।
২০১৮ সালে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৪ টাকা ৪০ পয়সা আর ২০১৯ সালে ছিল ৪ টাকা ৭৮ পয়সা।
২০১৮ ও ২০১৯ সালে সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের চেয়ে কম আয় করেও শেয়ার প্রতি সাড়ে তিন টাকা অর্থাৎ ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।
সামিট পাওয়ারের লভ্যাংশ ঘোষণা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি
আয়ের পাশাপাশি সামিটের সম্পদমূল্যও বেড়েছে। গত ৩০ জুন শেষে শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য হয়েছে ৩৪ টাকা ৪৫ পয়সা। আগের বছর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য ছিলো ৩১ টাকা ৫০ পয়সা।
অর্থাৎ এক বছরে সম্পদমূল্য বেড়েছে ২ টাকা ৯৫ পয়সা বা ৯.৩৬ শতাংশ।
লভ্যাংশের রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪ অক্টোবর। অর্থাৎ সেদিন যাদের হাতে শেয়ার থাকবে তারা পাবেন লভ্যাংশ।
আগামী ৫ ডিসেম্বর বার্ষিক সাধারণ সভায় এই লভ্যাংশ চূড়ান্ত হবে। করোনাকালে এই সভা হবে ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে।