‘আর পাঁচটা মানুষের মতো আমার জীবন না। মনে রাখিস, তোর বেইমানির জন্য আত্মহত্যা করলাম..।’
কুমিল্লায় এমন একটি স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন মহানগর যুবলীগ নেতা এমরান হোসেন মুন্না।
২৯ বছর বয়সী এই তরুণ কুমিল্লা সদরের বারপাড়ার মতিউর রহমানের ছেলে।
প্রেমের সুবাদে পরিবারের অমতেই বিয়ে করেছিলেন এমরান। কিন্তু এক বছর পার না হতেই তাদের সম্পর্কে দেখা দেয় জটিলতা।
মুন্নার স্ত্রী ঢাকায় পড়াশোনা করেন। সেখানে তিনি আরেকটি সম্পর্কে জড়িয়ে যান বলে ধারণা করতে থাকেন মুন্না। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। আর একপর্যায়ে মুন্না আত্মহত্যা করেছেন, দাবি স্বজনদের।
বুধবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা নগরীর বারপাড়া এলাকায় আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটে। বৃহস্পতিবার রাতে পুত্রবধূর বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন মুন্নার বাবা মতিউর রহমান।
মামলায় বলা হয়, কুমিল্লা কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউটে (বর্তমানে সরকারি সিটি কলেজ) পড়ার সময় প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যান দুজন। ৮ বছর প্রেমের পর ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি তারা বিয়ে করেন।
মেয়েটি পরে ঢাকায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। আর মুন্না কুমিল্লায়ই ঠিকাদারি ব্যবসা করতেন। দিন দিন তাদের মধ্যে সম্পর্কে ফাটল ধরে।
স্বজনদের অভিযোগ, মেয়েটি মুন্নাকে বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতন করতেন। চাহিদামতো টাকা দিতে না পারার অজুহাতে মরে যেতেও বলতেন। এতে মানসিকভাবে মুন্না ভেঙে পড়েন।
গত বুধবার মুন্না আত্মহত্যার প্রস্তুতি নিয়ে স্ত্রীকে ছবি ও মেসেজ পাঠান। কিন্তু তাতেও কর্ণপাত করেননি স্ত্রী। অভিমান করে নিজের শোবার ঘরেই সিলিং ফ্যানে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন মুন্না। পরে পরিবারের লোকজন দরজা ভেঙে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আন্ওয়ারুল আজিম বলেন, ‘পরিবার আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করেছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। এটা প্রমাণসাপেক্ষ বিষয়। তাই কেন তিনি আত্মহত্যা করেছেন, তা প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত বিস্তারিত বলা যাবে না।’