মিয়ানমারে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নিজ বাসভূমিতে ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে ঢাকার পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন জার্মানির রাষ্ট্রদূত আচিম টোস্টার।
সচিবালয়ে বিকেলে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রী মো.তাজুল ইসলামের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত।
বৈঠকের পরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে হত্যা, নির্যাতন ও সহিংসতার শিকার হওয়া রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে মানবিকতার উদাহরণ সৃষ্টি করেছে বলে মত দিয়েছে জার্মান সরকার। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে দেশটি।
‘রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে তারা সবসময় বাংলাদেশ সরকারের পাশে থেকে বিশ্বসম্প্রদায়ের জনমত আদায়ে ভূমিকা রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন জার্মানির রাষ্ট্রদূত।’
সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রী মো.তাজুল ইসলামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন জার্মানির রাষ্ট্রদূত আচিম টোস্টার। ছবি: নিউজবাংলা
এ সময় সায়েদাবাদ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ফেইজ-৩ এ ইউরোপের দেশটির সরকারের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে ভবিষ্যতেও যেকোন উন্নয়ন প্রকল্প যা মানুষের জন্য কল্যাণকর সেগুলোতে সহযোগিতা কামনা করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
সাক্ষাতে বাংলাদেশের উন্নয়ন খাতে জার্মানির সর্বোচ্চ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান আচিম টোস্টার।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্টে শুরু হওয়া মিয়ানমারের সেনা অভিযানের পরের পাঁচ মাসে প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। অবশ্য এর আগে থেকেই বিভিন্ন সময়ে আরও প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল। সেই ১৯৭৮ সাল থেকে শুরু করে সর্বশেষ আসা প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশে।