ব্যবসায়ী কায়সার মাহমুদ হত্যা মামলায় তার স্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে ফেনীর একটি বিচারিক আদালত।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জেবুন্নেছা আসামির উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় দেন।
রায়ে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হাফেজ আহম্মদ জানান, ২০১৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ফেনী পৌরসভার রামপুর এলাকার কায়সার মাহমুদের সঙ্গে দৌলতপুর গ্রামের শাহনাজ নাদিয়ার বিয়ে হয়।
বিয়ের কয়েক মাস পর তাদের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। ২০১৪ সালের ১১ এপ্রিল বিকেলে নাদিয়া ও কায়সার ডাক্তার দেখানোর জন্য বাসা থেকে বের হন। ওই দিন রাতে শহরের পাঠানবাড়ি এলাকায় কায়সারের মরদেহ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় কায়সারের বাবা আবুল খায়ের বাদী হয়ে নাদিয়া ও তার প্রতিবেশী মো. হারুনকে আসামি করে মামলা করেন। ১২ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নাদিয়াকে গ্রেপ্তার করেন। পরদিন তিনি কায়সারকে একাই হত্যা করেছেন বলে আদালতে জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে নাদিয়া জানান, একসময় হারুন তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন। এ ব্যাপারটি নিয়ে কায়সার সব সময় মানসিক যন্ত্রণা দিতেন।
মামলার অপর আসামি মো. হারুন ২০১৪ সালের আগস্টে খুন হন। সেই খুনের ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
কায়সার হত্যা মামলায় শুধু নাদিয়াকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আহসান কবির বেঙ্গল বলেন, ‘আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ওপর এ রায় দিয়েছেন বিচারক। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।’
কায়সারের বাবা আবুল খায়ের বলেন, ‘এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারিনি। আসামির মৃত্যুদণ্ড দেয়া দরকার ছিল।’
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হাফেজ আহম্মদ জানান, যাবজ্জীবন তথা ৩০ বছর তাকে জেল খাটতে হবে। আর যদি ৫০ হাজার টাকা না দেন, তাহলে আরও ১ মাস জেল খাটতে হবে দণ্ডিতকে।