মানিকগঞ্জে করোনা উপসর্গে অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেয়ার পথে বুধবার রাতে ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।
মৃত সুবর্ণা ইসলাম রোদেলার বাড়ি জেলার বেউথা এলাকায়। সে স্থানীয় এসকে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ত।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২১ সেপ্টেম্বর থেকে রোদেলা জ্বর এবং শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধও খেয়েছে সে। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে শ্বাসকষ্ট, গলা ও বুকে ব্যথায় অচেতন হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত মুন্নু জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়।
সেখানে তার শরীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেন। রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেয়ার পথে গাবতলী এলাকায় রোদেলা নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এ সময় তাকে দ্রুত ইবনে সিনা হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সদর উপজেলার মুন্নু জেনারেল হাসপাতালের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যায় রোগীকে হাসপাতালে আনা হলে তার করোনা উপসর্গ দেখে বেশকিছু পরীক্ষা করা হয়। এ সময় তার অবস্থা সংকটাপন্ন হলে চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন।’
মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কাজী এ কে এম রাসেল বলেন, ‘একজন ছাত্রী করোনায় আক্রান্তের খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন ছাত্রী করোনা পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে এসেছিল। তাদের কারও রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি।’
জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ বলেন, ‘মেয়েটি গত ১৫ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ স্কুলে গিয়েছিল। তখন তার কোনো শারীরিক সমস্যা ছিল না। গত তিন দিন ধরে তার জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। এরপর শনিবার দুপুরে তাকে মুন্নু জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে সে মারা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘মেয়েটি করোনায় আক্রান্ত ছিল কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এর আগে ওই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী করোনা পজিটিভ হওয়ায় ওই শ্রেণির পাঠদান বন্ধ রাখা হয়। এরপর ওই শ্রেণির ৫৮ শিক্ষার্থীর করোনা পরীক্ষায় সবার নেগেটিভ এসেছে।’
বৃহস্পতিবার থেকে ওই শ্রেণির পাঠদান আবারও চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
এর আগে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ৪ নম্বর ফেরধারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীর করোনা শনাক্ত হওয়ায় ওই শ্রেণির পাঠদান ১৪ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ওই শ্রেণির বাকি শিক্ষার্থীদের। তবে স্বাভাবিক রয়েছে অন্য শ্রেণির পাঠদান।