বিএনপির অন্যতম বন্ধু গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ।
নিজের বাড়িতে বৃহস্পতিবার সকালে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
রিজভী বলেন, ‘জাফরুল্লাহ চৌধরীকে আমরা স্বৈরাচার এরশাদের দোসর হিসেবে জানতাম। তিনি এখন গণতন্ত্রের কথা বলেন। এরশাদের সঙ্গে ওষুধনীতি নিয়ে তার দহরম-মহরম মানুষের জানা আছে।
‘আজকে তিনি জাতির বিবেক হয়েছেন। কে, কী করবে, না করবে- এসবের মাত্রা ছাড়িয়ে এখন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছবক দিচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন বর্ষীয়ান ব্যক্তি। মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান বিশাল। তাই বলে তিনি নীতির বাইরে গিয়ে কথা বলতে পারেন না।'
রিজভী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া এখন বাইরে না মুক্ত, সেটা অবশ্যই তার জানার কথা। খালেদা জিয়া কারাবন্দি ছিলেন, এখন গৃহবন্দি। অনেক শর্ত আরোপ করে তাকে বাসভবনে রাখা হয়েছে। স্বাধীনভাবে তিনি কোথাও যেতে পারেন না।
‘দীর্ঘসময় তিনি বিএনপির নেতৃত্ব দিয়েছেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তার অসীম সাহসিকতা জাতি কোনো দিন ভুলবে না। তিনি আজও যে নির্যাতন সহ্য করছেন, তা গণতন্ত্র উদ্ধারের বিশাল সংগ্রামের অংশ। বিশ্বের মানুষ জানে তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাবন্দি করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, এরপরও জাফরুল্লাহ চৌধুরী খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে মাঝেমধ্যে এমন সব মন্তব্য করেন, যেগুলো রুচিশীল নয়। মনে হয়, কোনো শক্তিকে খুশি করতে তিনি এসব বলছেন।
রিজভী আরও বলেন, ‘খবরের কাগজে জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে জাতীয়তাবাদী শক্তি সমর্থিত বুদ্ধিজীবী বলা হয়। কিন্তু বিএনপি ও নেত্রীকে নিয়ে তার মন্তব্য সভ্যতা ও শিষ্টাচারের বিপরীত।
‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপিতে এখনও ইস্পাতের মতো কঠিন ঐক্য বিদ্যমান।’