কৃষক-শ্রমিক-আওয়ামী লীগ (বাকশাল) গঠনের প্রসংশা করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘নিন্দুকেরা বাকশাল নিয়ে অনেক কথা বলে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষকের কল্যাণেই বাকশাল গঠন করেছিলেন। আমি বাকশাল সমর্থন করি।’
বুধবার রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন: কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির রূপান্তর’ শীর্ষক এক সেমিনারে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পরিকল্পনামন্ত্রী ডক্টর শামসুল আলম, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএস-এর মহাপরিচালক বিনায়ক সেনসহ অন্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
কৃষিখাতে বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নের ভিত তৈরি হয়েছে বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই। তার উপরে বহুতল ভবন তুলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফার্মগেটের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল-এর জায়গায় হোটেল নির্মাণের কথা ছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কারণেই বিএআরসি ভাঙা সম্ভব হয়নি। তিনি সব সময় কৃষক দরদী ছিলেন। তাদের কল্যাণেই বঙ্গবন্ধু বাকশাল গঠন করেছিলেন।’
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘যেহেতু দিনদিন কৃষি জমি কমছে, কিন্তু মানুষ বাড়ছে। তাই উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর কোন বিকল্প নাই। এজন্য কৃষি যান্ত্রিকীকরণের উপর জোর দিতে হবে। তৃণমূল পর্যায়ে কৃষকদের আরও বেশি সুবিধা দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের উপর আরও গুরুত্ব দেয়া হবে। যাতে এসব পণ্য বাহিরে রপ্তানি করা যায়।’
রাজ্জাক মনে করেন, বিআইডিএস-এর অনেক সক্ষমতা আছে। বিআইডিএস-এ যেন দেশের সেরা মেধাবীরা আসতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ যাতে এগিয়ে যেতে পারে এ জন্য উদ্যোক্তাদের সহজশর্তে কম সুদে ঋণ দেয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে পণ্যের বহুমুখী ব্যবহারের উপরও সরকার জোর দিয়েছে। যেমন- আমরা শুধু দুধ খাব না, দুধ থেকে আরও ২৮ থেকে ২৯ ধরনের পণ্য তৈরি করা যায়, সেদিকে নজর দেয়া হচ্ছে। মাছ দিয়েও বিভিন্ন ধরনের খাদ্য পণ্য উৎপাদন করা যেতে পারে। আমাদের বাড়তি শাকসবজি এবং অপ্রজনীয় বিভিন্ন পণ্য যেমন- সামুদ্রিক শৈবাল বাইরে রপ্তানি হচ্ছে।’
বিআইডিএস-এর মহাপরিচালক বিনায়ক সেন বলেন, `গ্রামের মহিলারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছে। পরিবারের উপার্জনের জন্য পুরুষরা অনেকেই দেশের বাইরে অবস্থান করছেন কিংবা পরিবারের বাইরে থাকছেন দিনের পর দিন। মহিলারা শক্ত হাতে পরিবার দেখাশোনা করছেন। এমনকি বিভিন্ন ছোট ছোট কাজ করে পরিবারকে আর্থিক অর্থসহায়তা দিচ্ছেন। তাদের জন্য কিছু করা যায় কিনা, সে বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করতে হবে।’