বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রতিবন্ধী যুবক হত্যায় ২ জনের যাবজ্জীবন

  •    
  • ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২০:৫৬

২০০৮ সালের ২ জুন রাতে পাবনা সদরের বজ্রনাথপুরের একটি চায়ের দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে মুন্না ও আযাদ মিলে পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিবন্ধী যুবক সেলিমকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ৪ জুন মামলার পর মুন্না ও আযাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৩ বছর পর তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত।

পাবনায় এক শারীরিক প্রতিবন্ধী যুবক হত্যার ১৩ বছর পর মামলার দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

একইসঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

পাবনার বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আহসান তারেক মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে এ রায় দেন।

সাজা পাওয়া আসামিরা হলেন সদর উপজেলার বজ্রনাথপুর গ্রামের মো. জহুরুল ওরফে মুন্না এবং বলরামপুর মহল্লার আযাদ হোসাইন।

নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দেওয়ান মজনুল হক।

রায়ের সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী সনৎ কুমার বাবু উপস্থিত ছিলেন।

তিনি জানান, প্রতিবন্ধী যুবকের নাম সেলিম বিশ্বাস। তার বাড়ি সদর উপজেলার বজ্রনাথপুর মহল্লায়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ২ জুন রাতে বজ্রনাথপুরের একটি চায়ের দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে মুন্না ও আযাদ মিলে পূর্বশত্রুতার জেরে সেলিমকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যান।

সেলিম বাড়ি না ফেরায় তাকে খুঁজতে থাকেন স্বজনরা। পরদিন বাড়ির পাশে একটি কলাবাগান থেকে সেলিমের মরদেহ উদ্ধার করে তার পরিবার।

এ ঘটনায় ওই বছর ৪ জুন সেলিমের বাবা আজহার আলী অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে পাবনা সদর থানায় মামলা করেন। পুলিশ মোবাইল ফোনের কললিস্ট ধরে তদন্ত করে মুন্না ও আযাদকে গ্রেপ্তার করে।

তদন্তকালে জানা যায়, মুন্নার বোন শিলা খাতুনকে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন সেলিম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সেলিমকে হত্যা করেন মুন্না ও আযাদ। গ্রেপ্তারের পর আদালতে অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দী দিলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। এরপর থেকে তারা কারাগারে ছিলেন।

আইনজীবী দেওয়ান মজনুল জানান, হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকায় আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত।

এ বিভাগের আরো খবর