চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বা এডিপি বাস্তবায়নে অন্য অনেক মন্ত্রণালয়ের চেয়ে বেশি সফল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বা আইসিটি বিভাগ।
দুই মাসে এই বিভাগে এডিপি বাস্তবায়নের হার ৫ শতাংশ, যা সামগ্রিক হারের প্রায় দেড় গুণ। এই দুই মাসে সামগ্রিকহারে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৩ দশমিক ৮২ শতাংশ।
কেবল এবার নয়, গত জুনে সমাপ্ত অর্থবছরেও সামগ্রিক হারের তুলনায় আইসিটিতে এডিপি বাস্তবায়নের হার বেশি ছিল। ওই বছরে আইসিটি বিভাগ ৮৭ দশমিক ৮০ শতাংশ, যদিও সামগ্রিকভাবে এডিপি বাস্তবায়ন হয় ৮২ দশমিক ২১ শতাংশ।
রোববার বিভাগটির এডিপি বাস্তবায়ন পর্যালোচনা সভায় অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে এডিপি বাস্তবায়নের এই তথ্য জানানো হয়।
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভায় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রীনা পারভীনের সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরসহ বিভাগের অধীন বিভিন্ন সংস্থা প্রধান এবং বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালকরাও যুক্ত হন।
সভায় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী গুণগতমান বজায় রেখে দ্রুত প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি শতভাগ নিশ্চিত এবং যথাসময়ে কাজ শেষ করতে প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
চলতি অর্থবছরে আইসিটি বিভাগের অধীন ২৩টি উন্নয়ন তিনটি কারিগরি ও একটি নিজস্ব প্রকল্পসহ মোট ২৭টি প্রকল্প রয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নসহ এডিপির বরাদ্দ এক হাজার ৪৫২ কোটি ৭১ লাখ টাকা।
সভায় আইসিটি বিভাগের চলতি অর্থবছরে গৃহীত প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন পরিকল্পনা, মাসভিত্তিক বাস্তব ও আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, গৃহীত সিদ্ধান্ত সমূহ এবং জনবল নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সংস্থা প্রধান ও প্রকল্প পরিচালকরা নিজ নিজ প্রকল্পের বাস্তবায়ন পরিকল্পনা ও সর্বশেষ অগ্রগতি সভায় তুলে ধরেন।
সভায় যেসব প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- জেলা পর্যায়ে আইটি/হাইটেক পার্ক স্থাপন প্রকল্প, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি-২ এর সহায়ক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প, জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অবকাঠামো উন্নয়ন, ইনফো সরকার-৩ প্রকল্প, দুর্গম এলাকায় তথ্যপ্রযুক্তি নেটওয়ার্ক স্থাপন শীর্ষক প্রকল্প, অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রাম, লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (২য় সংশোধিত)।
‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক রাজশাহী (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প, কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কসহ অন্যান্য হাইটেক পার্ক উন্নয়ন (৩য় সংশোধিত) প্রকল্প, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপন, বিজিডি ই-গভ সার্ট এর সক্ষমতা বৃদ্ধি শীর্ষক প্রকল্প, লিভারেজিং আইসিটি ফর এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গ্রোথ অফ দ্য আইটি-আইটি ইএস ইন্ডাস্ট্রিজ প্রকল্প।
‘জাপানিজ আইটি সেক্টরের উপযোগী করে আইটি ইঞ্জিনিয়ারদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প, মোবাইল গেইম অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন এর দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প, উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠা প্রকল্প, বাংলাদেশ সরকারের জন্য নিরাপদ ইমেইল ও ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার স্থাপন প্রকল্প, কানেক্টেড বাংলাদেশ শীর্ষক প্রকল্প, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি স্থাপন ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প।’