মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভায় হঠাৎ বেড়েছে চোরের উপদ্রব। চুরি ঠেকাতে রাতে পালা করে পাহারা দিতে হয় বাসিন্দাদের।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে নিজেদের উদ্যোগে এ পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পালা করে সারা রাত লাঠি নিয়ে গ্রামের বাড়ি বাড়ি ঘুরেন তারা।
তারা জানান, এই মাসেই কাউন্সিলর ইউনুস আলী হাওলাদারের খালি বাসার তালা ভেঙে দিন-দুপুরে চুরি হয়েছে। আলীনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনির বেপারির বাড়ি থেকে চুরি হয়েছে দুটি মোবাইল, একটি ল্যাপটপ, একটি আংটি, চেইন ও কিছু টাকা।
একই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিব ভূঁইয়ার বাড়ি থেকে চুরি হয়েছে গরু। এ ছাড়া বেশ কয়েকজনের বাড়ি থেকে ছাগল, গরু, ভ্যানসহ বিভিন্ন মালপত্র নিয়ে গেছে চোরেরা।
পাহারা ব্যবস্থার উদ্যোক্তা ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারিকুজ্জামান সুরুজ বলেন, ‘এভাবে একের পর এক পৌর এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে চুরির হিড়িক পড়ায় আমরা শঙ্কিত। এসব চুরির ঘটনা নিয়ে থানা পুলিশের ভূমিকা নিয়েও জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তাই আমরা এলাকাবাসী মিলে রাতে পাহারার ব্যবস্থা করেছি।’
৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইউনুস আলী বলেন, ‘আগে দেখতাম রাতের বেলায় চুরি হতো। আর এখন দিনের বেলায়ও চুরি শুরু হয়েছে। আমাদের সব সময় চোরের আতঙ্কে থাকতে হয়।’
পৌর এলাকার ছত্তার, সোহেল ও রিয়াদ জানান, রাত হলেই তাদের এলাকার গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগীসহ বিভিন্ন মালপত্র নিয়ে যাচ্ছে চোরেরা। তাই চুরি ঠেকাতে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। প্রতিটি বাড়ি গিয়ে চিৎকার দিয়ে সব সময় তাদের সতর্ক রাখেন।
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসতিয়াক আসফাক রাসেল বলেন, ‘রাত জেগে এলাকাবাসী পাহারা বসিয়েছে বিষয়টি জেনেছি। এটা জনস্বার্থের কাজ। সচেতন মহল সোচ্চার থাকলে আমাদের পুলিশের সুবিধা হয়। সবার সহযোগিতা থাকলে সুন্দর সমাজ গড়া সম্ভব।’