সালিশ বৈঠকে জরিমানা আদায়ের জেরে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে বগুড়ায়।
শহরতলীর ভবের বাজার এলাকার মেহেরা পাম্পের সামনে বৃহস্পতিবার রাতে দুর্বৃত্তরা হাসান সরকার নামের ওই ব্যক্তিকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় রাজধানীর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আব্দুর রশিদ।
নিহত হাসানের বাড়ি বগুড়া পৌর এলাকার পালশা সরকার পাড়ায়।
নিহতের ছেলে জাকির সরকার মৃদুল জানান, তার (মৃদুলের) চাচাত বোনের সঙ্গে স্থানীয় এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক আছে। ওই দুইজনের ঘনিষ্ট মুহূর্তের ছবি এলাকার রুপম নামের এক যুবকের হাতে আসে। সেই ছবি দেখিয়ে রুপম তার বোনকে শারীরিক সম্পর্কের জন্য চাপ দেন। তাতে রাজি না হলে সেই ছবি তার বোনের সহকর্মী ও এলাকার কয়েকজনের মোবাইল ফোনে পাঠিয়ে দেন রুপম।
মৃদুল আরও জানান, অভিভাবক হিসেবে তার বাবা স্থানীয় পৌর কাউন্সিলরের কাছে রুপমের নামে নালিশ দেন। কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম বিষয়টি মিমাংসা করতে এলাকায় কিছুদিন আগে সালিশ বৈঠক ডাকেন। তাতে রুপমকে দোষি জানিয়ে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। সেই টাকা পরে দিবেন বলে সে সময় জানান রুপম।
মৃদুলের অভিযোগ, শহরতলীর ভবের বাজার এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে জরিমানার টাকা আদায় নিয়ে হাসানের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয় রুপমের। পরে রূপম ও তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন হাসানকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা গুরুতর আহত হাসানকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় শুক্রবার তাকে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়। সেখানেই শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আব্দুর রশিদ বলেন, ঘটনার পর শুক্রবার সদর থানায় হামলার মামলা করেছিলেন হাসানের ছেলে মৃদুল। এরপর থেকেই আসামি রুপমকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালানো হচ্ছে।