পরবর্তী কর্মপন্থা ঠিক করতে ধারাবাহিক বৈঠকের তৃতীয় দিনে দলের অঙ্গসংগঠনের নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া চারটায় এই বৈঠক শুরু হয়। যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন তারেক রহমান।
বৈঠকের আগে বেলা তিনটা থেকেই নেতা-কর্মীরা একে একে আসতে থাকেন। প্রথম দুই দিনের তুলনায় আজ শেষ দিনে গুলশান কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
নেতারা ভেতরে বৈঠকে থাকলেও কার্যালয়ের বাইরেই তিন শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। তারা ধাপে ধাপে কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় খণ্ড খণ্ড মিছিল বের করে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানান।
কার্যালয়ের ফটকের ঠিক সামনেই ছিল ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ‘তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সকল মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার’ শিরোনামে একটি ব্যানার। এর সামনে দাঁড়িয়ে ‘তারেক রহমান আসছে, মা মাটি ডাকছে’ স্লোগান দিতে দেখা যায় নেতা-কর্মীদের।
এদিকে কার্যালয়ের ভেতরে অঙ্গসংগঠনের নেতাদের নিয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের বৈঠক তখনও চলছিল।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক কর্মকৌশল ঠিক করতে ও নেতাদের মতামত জানতে মঙ্গলবার এই ধারাবাহিক বৈঠক শুরু হয়।
তারেক রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত আছেন।
প্রথম দিন দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের এবং দ্বিতীয় দিন দলের যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যদের মতামত জেনেছেন তারেক।
তৃতীয় দিন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, তাঁতী দল, উলামা দলসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের সভাপতি ও সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতা মিলিয়ে ৯২ জন অংশ নেন।
তাদের মধ্যে যু্বদলের সাইফুল ইসলাম নিরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মোরতাজুল করীম বাদুর, নুরুল ইসলাম নয়ন, মামুন হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, গোলাম সারোয়ার, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ই্য়াসীন আলী, সাদরেজ জামান, রফিকুল ইসলাম, নাজমুল হাসান, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, নেওয়াজ হালিমা আরলী শাম্মী আখতার, জেবা খান, হেলেন জেরিন খান, চৌধুরী নায়াবা ইউসুফ, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহতাব, ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, কাজী রওনুকুল ইসলাম শ্রাবণ, জাকিরুল ইসলাম জাকির, আশরাফুল আলম ফকির লিংকন, হাফিজুর রহমান হাফিজ, মামুন খান, পার্থদেব মণ্ডল, মোস্তাফিজুর রহমান, আমিনুর রহমান আমিন, উলামা দলের শাহ নেসারুল হক, নজরুল ইসলাম তালুকদার প্রমুখ উপস্থিত রয়েছেন।
অনুষ্ঠানে দলের কেন্দ্রীয় দপ্তরের সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ, চেয়ারপারসন কার্যালয়ের এ বি এম আবদুস সাত্তার, রিয়াজ উদ্দিন নসু এবং প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান, শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ রয়েছেন।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাবন্দি হওয়ার পর কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে এটি তারেক রহমানের প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক।