বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ‘কৃষ্ণচূড়ার লাশ’

  •    
  • ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৮:১৩

কৃষ্ণচূড়া গাছ কাটার প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন একাংশের সাধারণ সম্পাদক রাগীব নাঈম বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা প্রথম যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ওড়ানো হয় তখন ২০০ কদম দূর থেকে এই কৃষ্ণচূড়া গাছটি সেই পতাকা ওড়ানো দেখেছিল। এই গাছ কাটা মানেই ইতিহাসকে কেটে ফেলা।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষ্ণচূড়া গাছ কাটার অভিনব প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের নেতা-কর্মীরা।

প্রতিবাদের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার তারা কাটা কৃষ্ণচূড়া গাছের একটি অংশ সাদা কফিনে মুড়িয়ে তার উপর লাল রং ছিটিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে রেখে আসেন। এ ছাড়া কাটা গাছের পাশে নতুন একটা কৃষ্ণচূড়া গাছের চারাও তারা রোপণ করেন।

তবে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে রাখা গাছের অংশটি একটু পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন সহকারী প্রক্টর সরিয়ে নেন।

'কৃষ্ণচূড়া হত্যার প্রতিবাদ' কর্মসূচি থেকে ক্যাম্পাসে আরও ১০০ গাছ রোপণ করারও দাবি জানায় ছাত্র ইউনিয়ন। এ ছাড়া কাটা গাছের কাঠগুলো বিক্রি না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের দেওয়ার দাবিও জানানো হয়।

প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন একাংশের সাধারণ সম্পাদক রাগীব নাঈম বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা প্রথম যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ওড়ানো হয় তখন ২০০ কদম দূর থেকে এই কৃষ্ণচূড়া গাছটি সেই পতাকা ওড়ানো দেখেছিল। কিন্তু আজ ঝুঁকির কথা বলে এটিকে কেটে ফেলা হয়েছে। এই গাছ কাটা মানেই ইতিহাসকে কেটে ফেলা। আমরা এই ইতিহাসকে বহন করতে চাই।’

নাইম আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা কাঠ দিয়ে নানা ভাস্কর্য বানায়। আমরা চাই এই গাছগুলো যেন বিক্রি করা না হয়। আমাদের দাবি, এই গাছগুলো চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের দেয়া হোক।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী রাকিব হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই গাছটি এখানে ছিল। তার নিজস্ব একটা বাস্তুতন্ত্র সৃষ্টি হয়েছিল। গাছটি 'বিপজ্জনক' দাবি করে আজ সেই বাস্তুতন্ত্র ধ্বংস করা হলো। তাই এ বিপজ্জনক গাছটির একটি গুড়ি আমরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে রেখে এসেছি।’

'এ গাছটির বদলে যদি আরও ১০০টি গাছও লাগানো হয়, তারপরও এই ক্ষতি পূরণ করা সম্ভব না। তবুও আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলতে চাই, এই গাছের পরিবর্তে আরও ১০০টি গাছ লাগাতে হবে।'

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফারজানা মিম বলেন, ‘আমরা নির্বিচারে গাছ হত্যার প্রতিবাদ জানাই। আমরা চাই এভাবে যেন আর কোনো গাছ হত্যাকাণ্ডের শিকার না হয়।’

এ বিভাগের আরো খবর