বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সেই জহিরের সাজা শেষ হবে ২০২৫ সালে

  •    
  • ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৮:০৩

কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, জহির অতিরিক্ত সাজা খাটছেন না। তার বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ১১টি। জেল কোড অনুযায়ী একটার পর একটা মামলার সাজা কার্যকর করা হচ্ছে। তার মুক্তির সম্ভাব্য তারিখ ২০২৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি।

চেক প্রত্যাখ্যানের চার মামলায় রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার জহির উদ্দিন সাজার মেয়াদের বেশি কারাগারে রাখার অভিযোগে রিট করেছিলেন হাইকোর্টে। এতে বলা হয়, জহিরের ২১ মাসের কারাদণ্ড হলেও ৪৪ মাসেও তার মুক্তি হয়নি।

গত সোমবার সেই আবেদনের শুনানি শেষে তাকে কারাবন্দি রাখা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, একই সঙ্গে মেয়াদের বেশি সাজা খাটার পরও তাকে কেন মুক্তির নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চায় উচ্চ আদালত।

তবে কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, জহির অতিরিক্ত সাজা খাটছেন না। তার বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ১১টি। জেল কোড অনুযায়ী, একটার পর একটা মামলার সাজা কার্যকর করা হচ্ছে। তার মুক্তির সম্ভাব্য তারিখ ২০২৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি।

বোয়ালিয়া থানার শিরোইল এলাকার জহিরের আইনজীবীর করা ওই রিটে হাইকোর্টকে জানানো হয়, ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি জহির উদ্দিন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান। এর পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। ২১ মাস সাজা খাটা শেষ হলেও তাকে অতিরিক্ত ২৩ মাস আটকে রাখা হয়েছে।

আদালতে জহিরের আইনজীবী দাবি করেন, তার সাজার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে ২০১৯ সালের অক্টোবরে, কিন্তু এরপরও তিনি কারাগারে আছেন।

এ বিষয়ে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, হাইকোর্টে রিটের বিষয়ে তিনি এখনও কিছু জানেন না। এ-সংক্রান্ত কোনো কাগজ তার কাছে আসেনি।

জহিরের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে তিনি বলেন, ‘জহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে মোট ১১টি মামলা। সব মামলাতেই তিনি সাজাপ্রাপ্ত। মামলাগুলো প্রতারণা, চেক জালিয়াতি ধরনের। কোনোটিতে এক বছর, ছয় মাস, কোনোটিতে চার মাস, কোনোটিতে তিন মাস-এভাবে সাজা আছে।

‘তার মোট সাজার পরিমাণ সাত বছর এক মাস। কোনো মামলার রায়ে উল্লেখ নেই, একসঙ্গে সব মামলার সাজা কার্যকর হবে। তাই জেল কোড অনুযায়ী, আমরা একটার পর একটা সাজা কার্যকর করছি। সম্ভাব্য ২০২৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাকে জেলে থাকতে হবে।’

তিনি জানান, সাজার মেয়াদ শেষেও আটকে রাখা হয়েছে-এমন দাবি করে এর আগেও হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে জহির আইনজীবীর মাধ্যমে রিট করেছিলেন। সেই বেঞ্চকে তারা বিষয়টা জানিয়েছিলেন। জহিরের পরিবারের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে তাদের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। পরে তাদেরকে ডেকে কারাবিধির বিষয়টি জানিয়েছেন।

একাধিক মামলায় দণ্ড কার্যকর বিষয়ে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু বলেন, ‘রায়ে যদি আদালত উল্লেখ করে দেন যে, সবগুলো সাজা একসঙ্গে কার্যকর হবে, তাহলে সেভাবেই হবে। সেটা না থাকলে আলাদা আলাদাভাবেই একটার পর একটা সাজা কার্যকর হবে।’

তবে সবগুলো সাজা একসঙ্গে কার্যকর করার সুযোগ চেয়ে আসামি আদালতে আবেদন করতে পারেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সে ক্ষেত্রে আসামি যখন কারাগারে যান তখন আইনজীবীর মাধ্যমে বিষয়টা সংশ্লিষ্ট আদালতকে জানাতে হয়। আদালতে আবেদন করতে হয়।

‘যে মামলায় গ্রেপ্তার, সেই মামলার সঙ্গে যেন অন্য মামলাতেও তার সাজা কার্যকরের হিসাব শুরু করা হয়। তাহলে আদালত সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়ে আদেশ দিতে পারেন। এটা না করে মুক্তির জন্য রিট করা ‘‘উল্টো পথে’’ হাঁটা।’

এ বিভাগের আরো খবর