বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাঁচ বছরে ই-নথিভুক্ত ২ কোটি ফাইল: পলক

  •    
  • ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২২:৪২

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় ই-নথি ব্যবস্থা ২০১৬ সালে চালু করায় ২ কোটির বেশি ইলেকট্রনিক্স ফাইল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করে ডিজিটালাইজেশন সম্পন্ন করা হয়েছে।

গত ৫ বছরে ২ কোটির বেশি সরকারি ফাইল ই-নথিতে রূপান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

বুধবার সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৩০৩ ডিজিটাইজেশন সেবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন। শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের কবি বেগম সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় ই-নথি ব্যবস্থা ২০১৬ সালে চালু করায় ২ কোটির বেশি ইলেকট্রনিক্স ফাইল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করে ডিজিটালাইজেশন সম্পন্ন করা হয়েছে।

করোনাকালীন বিভিন্ন অফিসের লক্ষাধিক কর্মকর্তা ইলেকট্রনিক ফাইল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করেছেন। এর মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা সাশ্রয়, সময় ও যাতায়াতের হয়রানি থেকে রক্ষা পেয়েছে। লকডাউনে কোনো প্রশাসনিক কাজও বন্ধ ছিল না।

পলক বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মধ্যে অন্যতম একটি উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে গত ১২ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে উঠে। এতে করোনা মহামারির সময়ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও করোনাকালীন ১৯ মাসে দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, ব্যবসা -বাণিজ্য ,প্রশাসনিক, বিচারকব্যবস্থাসহ সবকিছু সচল ছিল।

‌প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীন দেশের ৭৩টি লাইব্রেরি, ৩০০ কোটির অধিক টাকা ব্যয়ে কেন্দ্রীয় আর্কাইভ ডিজিটাইজ এবং আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বাতিঘর বাংলা একাডেমিকে ডিজিটাইজ করার বিষয়ে আইসিটি বিভাগ প্রযুক্তিগত সহায়তাসহ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের কারিগরি সহায়তায় ‘মাইগভ র‌্যাপিড ডিজিটাইজেশন’ পদ্ধতির আওতায় সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৩০৩ সেবা ডিজিটাইজেশন হয়েছে। এ মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত ১৭টি দপ্তর-সংস্থার মধ্যে ১০টি দপ্তর-সংস্থার ডিজিটাইজেশন সম্পন্ন হয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, মাইগভ র‌্যাপিড ডিজিটাইজেশন প্ল্যাটফর্মের আওতায় ইতোমধ্যে যে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ডিজিটাইজেশন সম্পন্ন হয়েছে, তার মধ্যে মন্ত্রণালয়ভিত্তিক সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সেবা সর্বোচ্চ সংখ্যক।

তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল পৌঁছে গেছে। বাতাস হতে ফ্রি অক্সিজেন গ্রহণের মূল্য আমরা যেমন বুঝি না, একইভাবে অনেকেই ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত ডিজিটাল বাংলাদেশের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনুধাবন করতে পারছেন না ।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনিরুল আলম ও এটুআই প্রকল্প পরিচালক দেওয়ান মো. হুমায়ুন কবির।

এ বিভাগের আরো খবর