দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা ৭৩টি লাইব্রেরি ও বাংলা একাডেমিকে ডিজিটালাইজড করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
বুধবার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের বেগম সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ৩০৩টি সেবা ডিজিটালাইজড অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ‘সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীন দেশের ৭৩টি লাইব্রেরি, প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে কেন্দ্রীয় আর্কাইভ এবং আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বাতিঘর বাংলা একাডেমিকে ডিজিটালাইজড করার বিষয়ে আইসিটি বিভাগ প্রযুক্তিগত সহায়তাসহ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মধ্যে অন্যতম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে গত ১২ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। এ কারণে করোনা মহামারির সময়েও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও করোনার সময়ে ১৯ মাসে দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্য, প্রশাসনিক, বিচার ব্যবস্থাসহ সবকিছু সচল ছিল।’
তিনি বলেন, ‘২০১৬ সালে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় ই-নথি ব্যবস্থা প্রবর্তন করায় দুই কোটির অধিক ইলেকট্রনিকস ফাইল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। করোনার সময়ে বিভিন্ন অফিসের লক্ষাধিক কর্মকর্তা ইলেকট্রনিক ফাইল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করেছে।
‘এর মাধ্যমে তারা শত শত কোটি টাকা সাশ্রয়, সময় ও যাতায়াতের হয়রানি থেকে রক্ষা পেয়েছেন। লকডাউনেও কোনো প্রশাসনিক কাজ বন্ধ ছিল না।’
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের কারিগরি সহায়তায় ‘মাইগভ র্যাপিড ডিজিটালাইজেশন’ পদ্ধতির আওতায় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ৩০৩টি ডিজিটালাইজড সেবার উদ্বোধন করা হয়।
এ সময় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘মাইগভ র্যাপিড ডিজিটালাইজেশন প্ল্যাটফর্মের আওতায় ইতোমধ্যে যে সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ডিজিটালাইজেশন সম্পন্ন হয়েছে, তার মধ্যে মন্ত্রণালয় ভিত্তিক সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সর্বোচ্চ সংখ্যক সেবার (৩০৩টি) ডিজিটালাইজেশন সম্পন্ন হয়েছে।
‘এ থেকে বোঝা যায়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ক্ষেত্র ও কর্মপরিধি কত ব্যাপক। মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত ১৭টি দপ্তর সংস্থার মধ্যে ১০টি দপ্তর সংস্থার ডিজিটালাইজেশন সম্পন্ন হয়েছে। বাকি সাতটি সংস্থার র্যাপিড ডিজিটালাইজেশন সম্পন্ন হলে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ডিজিটালাইজড সেবার সংখ্যা আরও বাড়বে।’