বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৫ অক্টোবর ঢাবির হল খোলার সুপারিশ

  •    
  • ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২১:০৬

তবে হল খুলে দেয়ায় সশরীরে ক্লাস শুরুর ইঙ্গিত নয় বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কে এম গোলাম রাব্বানী। তিনি বলেন, ‘আমাদের সকল শিক্ষার্থী টিকার আওতায় চলে আসলে আমরা পরবর্তীতে এটির তারিখ জানাব।’

করোনার কারণে প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন আবার সশরীরে ক্লাস শুরুর অপেক্ষা, সে সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলে দেয়ার বিষয়ে সুপারিশ করেছে প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি।

কমিটি চতুর্থ বর্ষ এবং মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে লাইব্রেরি এবং ৫ অক্টোবর থেকে আবাসিক হল খুলে দেয়ার পক্ষে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির ভার্চুয়াল সভা শেষে বুধবার রাতে এ সুপারিশের কথা জানানো হয়।

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সুপারিশ চূড়ান্ত করা হবে বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ও স্যার এ এফ রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এ কে এম সাইফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার শর্তে চতুর্থ বর্ষ এবং মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য হল এবং লাইব্রেরি খোলার সুপারিশ আমরা করেছি। তবে তাদের সবাইকে হল এবং লাইব্রেরিতে প্রবেশ করতে হলে প্রথম ডোজ টিকা নেয়ার সনদ দেখাতে হবে।’

তবে হল খুলে দেয়ায় সশরীরে ক্লাস শুরুর ইঙ্গিত নয় বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কে এম গোলাম রাব্বানী। তিনি বলেন, ‘আমাদের সকল শিক্ষার্থী টিকার আওতায় চলে আসলে আমরা পরবর্তীতে এটির তারিখ জানাব।’

২০২০ সালে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়লে ১৭ মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। চলতি মাসের ১২ তারিখ থেকে স্কুল ও কলেজে ক্লাস শুরু হলেও বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ঘোষণা এখনও আসেনি।

তবে সরকার সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও খুলে দিতে চায় দ্রুত এবং এ কারণে আগের একটি সিদ্ধান্তে পরিবর্তন এনেছে। এতদিন সরকারের অবস্থান ছিল, ছাত্র-শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে টিকা দিয়ে পরে বিশ্ববিদ্যালয় চালু করা হবে।

তবে টিকা প্রয়োগে দীর্ঘসূত্রতার কারণে এই অবস্থান থেকে সরে এসে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন, টিকার জন্য নিবন্ধন নিশ্চিত করেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়া যাবে। তিনি বরং বিশ্ববিদ্যালয়েই টিকাকেন্দ্র করার পক্ষে তিনি।

মঙ্গলবার মন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরের দিনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি এই বৈঠকে বসে।

কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল বাছির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সুপারিশ অনুযায়ী, আগামী ৫ অক্টোবর সকাল আটটা থেকে চতুর্থ বর্ষ এবং মাস্টার্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য হলের গেইট খুলে দেয়া হবে।

‘এছাড়া ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে বিকাল পর্যন্ত বিভাগীয় সেমিনার এবং সেন্ট্রাল লাইব্রেরি খোলা থাকবে। তবে হল এবং লাইব্রেরিতে প্রবেশের সময় শিক্ষার্থীদের অবশ্যই প্রথম ডোজ টিকা নেয়ার সনদ দেখাতে হবে।’

চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা আজকে শুধুমাত্র সুপারিশ করেছি। এরপর এটি আগামীকালের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় যাবে এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট এটি চূড়ান্ত করবে।’

হল খুললে চতুর্থ বর্ষ এবং মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছাড়া অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীরাও হলে উঠে যাওয়ার চেষ্টা করলে কর্তৃপক্ষ কী করবে- এমন প্রশ্নে প্রভোস্ট কমিটির সদস্য সচিব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘ছাত্র, শিক্ষক কর্মকর্তা সবাই মিলেই বিশ্ববিদ্যালয়। সুতরাং আমরা আশা করব, যাদের জন্য হল খোলা হচ্ছে তারা এবং বাকিরা বিশ্ববিদ্যালয়কে সার্বিক সহযোগিতা করবে। এরপর যখন যা পরিস্থিতি তৈরি হবে হল প্রশাসন বিষয়টি দেখবে।’

এ বিভাগের আরো খবর