বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রকাশিত সংবাদের নিন্দা জানাল এবিবি

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২০:৩৮

এবিবির বিবৃতিতে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে পুরো সাক্ষাৎটি একটি পরিপূর্ণ সৌহার্দ্যসুলভ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে ব্যাংক এমডিদের ক্ষমা চাওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি, অবস্থা ও কারণ তৈরিই হয়নি।

কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের নিন্দা জানিয়েছে ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি)।

এক বিবৃতিতে এবিবি বলেছে, ‘গত ১৩ সেপ্টেম্বর এবিবির একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সাক্ষাৎ বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর শিরোনামের কিছু মনগড়া সংবাদের প্রতি এবিবির দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে।’

উদাহরণ হিসেবে কয়েকটি পত্রিকার সংবাদের শিরোনাম উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। যেমন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ক্ষমা চাইলেন ছয় ব্যাংকের এমডি’, ‘কারণ ছাড়া ব্যাংকে কর্মী ছাঁটাই হয়নি- বৈঠকে এবিবির দাবি’, ‘ব্যাংকের কর্মী ছাঁটাই না করার নির্দেশ’।

এবিবির চেয়ারম্যান আলী রেজা ইফতেখারের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ব্যাংককর্মীদের স্বেচ্ছায় পদত্যাগ, খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে এবং শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত কারণে পদত্যাগ বিষয়ে দেশের কয়েকটি ব্যাংকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চলমান নিরীক্ষা কার্যক্রম নিয়ে সম্প্রতি কিছু প্রধান পত্রিকায় অসত্য ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ ছাপা হওয়ার প্রেক্ষিতে এবিবি নেতারা গভর্নরের সঙ্গে দেখা করে ব্যাংকগুলোর অবস্থান ব্যাখ্যা করেন।

‘তারা জানান, দেশের আইন যথাযথ পরিপালন করেই ব্যাংকে খারাপ পারফরম্যান্স বা শৃঙ্খলাজনিত কারণে কর্মীদের পদত্যাগ বা ছাঁটাইয়ের বিষয়টি ঘটে থাকে। তারা আরও জানান, অনেক কর্মীই স্বেচ্ছায় বেশি বেতন ও সুবিধা নিয়ে অন্য ব্যাংকে যেমন চলে যান, তেমনি নানা পারিবারিক কারণ, স্থায়ীভাবে বিদেশ গমন ইত্যাদি কারণেও বড়সংখ্যক কর্মী স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়েন। আর যেসব ব্যাংকে আলাদা কমিশন আয়ভিত্তিক সেলসফোর্স আছে, সেসব ব্যাংকের পদত্যাগকারী কর্মীর সংখ্যা স্বাভাবিক কারণেই বেশি হয়। যেহেতু অনেক ব্যাংক অন্য ব্যাংকের প্রশিক্ষিত সেলস কর্মীদের স্থায়ী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়ে থাকে।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বৈঠকে এবিবির চেয়ারম্যান বলেন, যদি যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া কোনো ব্যাংক কোনো পদত্যাগকারী কর্মীর পাওনা বুঝিয়ে দেয়ার ব্যাপারে গড়িমসি করে, তাহলে এবিবি সেটার নিন্দা জানায়।

‘এবিবির নেতাদের এসব তথ্য-উপাত্ত ও পরিসংখ্যান শোনার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কিছু ব্যাংকের নিরীক্ষা চলমান থাকার এবং তার শেষে বস্তুগত তথ্যের ভিত্তিতেই যে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, সেটি ব্যাংক এমডিদের নিশ্চিত করেন।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘গভর্নর তার বক্তব্যে করোনা মহামারি চলাকালীন কর্মীদের পদত্যাগ ও ছাঁটাই বিষয়টি সংবেদনশীলতার দিকে দৃষ্টি রেখে ব্যাংক এমডিদের মানবিক আচরণ করার আহ্বান জানান।

‘তিনি ব্যাংকের প্রাথমিক স্তরের কর্মীদের কম বেতন প্রসঙ্গে ব্যাংক এমডিদের উদারতা প্রদর্শন করারও পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, চাকরি ছাড়া কর্মীর সংখ্যা মহামারির আগের বছরগুলোর চেয়ে বেশি কোনোভাবেই কাম্য নয়।’

এবিবির বিবৃতিতে জানানো হয়, পুরো সাক্ষাৎটি একটি পরিপূর্ণ সৌহার্দ্যসুলভ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে ব্যাংক এমডিদের ক্ষমা চাওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি, অবস্থা ও কারণ তৈরিই হয়নি।

বিবৃতিতে বলা হয়, “প্রকাশিত সংবাদের এই অংশটুক যেমন সর্বৈব মনগড়া, তেমন কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক মিটিংয়ে উপস্থিত ব্যাংকারদের ‘ব্যাংকে অবৈধভাবে নিয়োগ-বাণিজ্য চলে’ এমন কথা বলা হয়েছে দাবি করাটাও অপসাংবাদিকতা। সভায় ছয় এমডির উপস্থিত থাকার কথাটিও একটি ভুল তথ্য।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে সুন্দর ও ইতিবাচক আলোচনার সংবাদকে বিকৃত করে সংবাদপত্রে ভুল তথ্যসহ উপস্থাপনের নিন্দা জানানো হয় বিবৃতিতে।

এ বিভাগের আরো খবর