ঢাকার সাভারে নিখোঁজের তিনদিন পর গত রোববার শিশু রবিউল ইসলামের অর্ধগলিত মরদেহ প্রতিবেশীর বাসার সিঁড়ির নিচ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে আনা হয় হত্যার অভিযোগ। তবে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে শিশু মৃত্যুর প্রকৃত কারণ।
পুলিশ বলছে, খেলতে গিয়ে আঘাত পেয়ে শিশুটি মারা যায় বলে কিশোর আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে তার বন্ধু আল আমিন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল মামুন কবির বুধবার সন্ধ্যায় নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে বিকেলে ঢাকা মুখ্য বিচারিক আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা ইয়াসমিন আল আমিনের জবানবন্দি নেন। পরে তাকে টঙ্গীর কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এসআই আল মামুন কবির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আশুলিয়ার দূর্গাপুরের ভাড়া বাসা থেকে প্রতিবেশী বন্ধু আল আমিনের বাসায় খেলতে যায় রবিউল। এ সময় আল আমিনের পরিবারের সদস্যরা বাইরে ছিল।
রবিউল ও আল আমিন নিজেদের মধ্যে শক্তি পরীক্ষার খেলা শুরু করে। একজন অপরজনকে ঘুষি মারতে থাকে। একপর্যায়ে আল আমিন সজোরে রবিউরকে ঘুষি মারে। এতে শিশুটির মাথা গিয়ে লাগে দেয়ালে। আঘাত পেয়ে রবিউল নিচে পড়ে যায়।
জ্ঞান হারালে সিঁড়ির নিচে কার্টুন ও পুরাতন প্যান্ট দিয়ে তাকে ঢেকে রাখে আল আমিন। সেখানেই মৃত্যু হয় তার। ভয়ে কাউকে কিছু না বললেও ভেতরে ভেতরে অনুশোচনায় ভুগতে থাকে সে। গত রোববার মরদেহ থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে এ ঘটনায় মামলা হয়।
এসআই বলেন, ‘অধিকতর তদন্তে রবিউল নিখোঁজের ঘটনায় বাড়ির মালিকের সম্পৃক্ততা মেলেনি। বিভিন্ন তথ্য, উপাত্ত ও সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আল আমিনকে সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর রবিউলের মৃত্যুর কারণ তাদের জানায় বন্ধু আল আমিন।
রবিউল আশুলিয়ার দুর্গাপুর এলাকায় পরিবারের সঙ্গে ভাড়া থাকত। বাড়ির মালিক আল-আমিন শেখের কাছে পাওনা টাকা চাওয়ায় তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছিল রবিউলের পরিবার।