বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হঠাৎ টিকাদান বন্ধে কুষ্টিয়ায় ভোগান্তি

  •    
  • ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৬:৩৯

চাকরিজীবী সেলিম হোসেন বলেন, ‘আমিও কাল আসছিলাম। বলেছিল, আজ টিকার গাড়ি আসবে। আজও দিচ্ছে না। অফিস কামাই করে আসলাম। কবে টিকা দেবে সেই কথা কে জানাবে।’

কৃষিকাজ ফেলে টিকা নিতে এসেছিলেন আতিয়ার রহমান। কেন্দ্রে অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর তিনি জানতে পারেন আজ আর টিকা দেয়া হবে না।

আফসোস করে আতিয়ার বলেন, ‘আসা-যাওয়ার খরচও হল, কাজও কামাই হল।’

এই কৃষি শ্রমিকের মতো টিকা নিতে এসে কুষ্টিয়ায় ভোগান্তির শিকার হয়েছেন অনেকে। সিভিল সার্জন বলছেন, টিকার ডোজ সময়মতো হাতে না আসায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

কুষ্টিয়ার কলকাকলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে টিকা নিতে আসেন আবু তালেব। তিনি বলেন, ‘গতকাল টিকা নিতে এসেছিলাম। বলেছিল শেষ হয়ে গেছে, আজ আসতে। আজ আসছি; আজও বলছে টিকা শেষ হয়ে গেছে।’

চাকরিজীবী সেলিম হোসেন বলেন, ‘আমিও কাল আসছিলাম। বলেছিল, আজ টিকার গাড়ি আসবে। আজও দিচ্ছে না। অফিস কামাই করে আসলাম। কবে টিকা দেবে সেই কথা কে জানাবে।’

অনেকেই বলেন, ম্যাসেজ মোতাবেক এসেও তাদের ফেরত যেতে হচ্ছে। কেন্দ্র থেকে মৌখিকভাবে আসতে বলা হয়। তারপর আর টিকা দেয়া হয় না।

কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের একটা গড়মিল হয়েছে। ভোর ৪টার দিকে টিকার গাড়ি আসার কথা ছিল। বিশেষ কারণে এটা আসেনি।

‘আমরা চেয়েছিলাম এক দিনও যাতে টিকা দেয়া বন্ধ না থাকে। সেজন্য ম্যাসেজ দিয়েছিলাম। ম্যাসেজ তো ফেরত নেয়া যায় না।’

মানুষের ভোগান্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রগুলোতে স্বাস্থ্যবিভাগের লোক রাখা হয়েছে। তারা সবাইকে বুঝিয়ে ফেরত পাঠাচ্ছে। কলকাকলী বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রদীপ নামে একজন আছেন।’

কেন্দ্রে গিয়ে প্রদীপকে পাওয়া যায়নি। খোঁজ করে জানা গেল, তিনি অবস্থান করছেন কেন্দ্র থেকে দূরে শিক্ষার্থী ছাউনির নিচে। প্রথমে নিজের পরিচয় অস্বীকার করলেও পরে প্রদীপ বলেন, ‘মানুষকে বলে বলে কাহিল হয়ে পড়েছি। তাই এখানে এসে বসে আছি।’

সিভিল সার্জন আনোয়ারুল দাবি করেন, ‘এর আগে কখনও এমন হয়নি। যদি আগামীকাল ভোর ৪টার সময় গাড়ি আসে তাহলে কালই টিকা দেয়া যাবে।

‘এবার ১ লাখ সিনোফার্মের ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে কুষ্টিয়ার জন্য। আগামী ১২-১৩ দিন টিকাদান চলবে।’

প্রতিদিন কুষ্টিয়ার ৮টি কেন্দ্রে ৮ থেকে ৯ হাজার টিকা দেয়া হয়। কিন্তু গত ১১ সেপ্টেম্বর ১১০ জনকে প্রথম ডোজ দেয়ার পর অ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকা শেষ হয়ে যায়। আর সিনোফার্মার টিকা শেষ হয়েছে ১২ সেপ্টেম্বর। এদিন ৭৫১ জনকে প্রথম ডোজ এবং ৪৯৪ জনকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে।

কুষ্টিয়ায় এ পর্যন্ত টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৬ লাখ ১৮ হাজার ৪৪৩ জন। প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ২ লাখ ৪৬ হাজার ৭৬১ জন। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ২১ হাজার ৩০৩ জন।

এ বিভাগের আরো খবর