ঢাকার সাভারে নিখোঁজের তিন দিন পর প্রতিবেশীর বাড়ির সিঁড়ির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে শিশুর মরদেহ।
আশুলিয়ার দুর্গাপুর এলাকার ওই বাড়ির সিঁড়ির নিচ থেকে রোববার দুপুরে পাওয়া যায় মরদেহটি।
নিহত শিশুর নাম রবিউল ইসলাম। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার নুরানি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল ১০ বছরের এই ছেলেটি। তার বাবা সুমন হোসেন এলাকায় ইজিবাইক চালান; দুর্গাপুরের আল আমিন শেখের বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল মামুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত শুক্রবার সুমন থানায় এসে তার ছেলে নিখোঁজ জানিয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন। তাতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নিখোঁজ সে।
আখতার হোসেন নামে স্থানীয় একজন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সকালে আমিন শেখের বাড়ির পাশের আরেকটি ভবন থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে আমরা গিয়ে দেখি, সিঁড়ির নিচে বস্তায় একটা মরদেহ। আমরা ৯৯৯-এ কল দিই।
‘এই ভবনে শুধু ভাড়াটিয়ারা থাকে। তারা কেউ জানে না মরদেহ সেখানে কীভাবে গেল। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।’
রবিউলকে হত্যায় আল আমিন জড়িত বলে অভিযোগ করেন তার বাবা-মা।
রবিউলের মা শাপলা খাতুন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিভিন্ন সময় বাড়িওয়ালা আল আমিন আমার স্বামীর কাছ থেকে ব্যবসার কথা বলে টাকা নিতেন। কখনও ১০ হাজার আবার কখনও ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন। তবে মোট কত টাকা নিয়েছিলেন, সেটা আমার জানা নেই।
‘পাওনা টাকা চাওয়ায় আল আমিন আমাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ারও হুমকি দেন। এরই জেরে আমার ছেলেকে ওরা মেরেছে। এমনিতে আমাদের কোনো শত্রু নাই।’
মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে এলাকায় পাওয়া যায়নি আল আমিন ও তার স্ত্রীকে।
থানার উপপরিদর্শক আল মামুন বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছি। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ঘটনা তদন্ত করছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’