বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনার টিকা আর হাসপাতালে নয়, ইপিআই কেন্দ্রে

  •    
  • ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২০:০৭

হাসপাতালগুলোয় করোনার টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজে লাগানো হচ্ছে। এতে চিকিৎসার স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। ফলে দ্রুত সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির টিকাকেন্দ্রগুলোয় এটি সরিয়ে নেয়া হবে। 

হাসপাতালগুলোর ওপর চাপ কমাতে এবং চিকিৎসাসেবা স্বাভাবিক রাখতে করোনার টিকাদান কেন্দ্রগুলো হাসপাতালে থেকে সরিয়ে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় আনা হচ্ছে।

গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রগুলোকে কাজে লাগাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে অধিদপ্তর।

করোনা রোগীর চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে, এমন হাসপাতালগুলোতে এখন এই ভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান কর্মসূচি চলমান রয়েছে। আবার যেসব হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না, সেগুলোতেও করোনার টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজে লাগানো হচ্ছে। এতে হাসপাতালে চিকিৎসার স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

রাজধানীর কয়েকটি হাসপাতালের এমন পরিস্থিতির কথা ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে একটি বৈঠকও হয়েছে। দ্রুত সময়ে মধ্যে হাসাপাতালে থেকে টিকাকেন্দ্র কীভাবে সরনো যায়, এ বিষয়ে অনেকেই মত দিয়েছেন। সবার মতামতের ভিত্তিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এমন অভিযোগ স্বীকার করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, টিকাদান কার্যক্রমে চিকিৎসক ও নার্সদের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছেন। চিকিৎসক ও নার্সদের একটি অংশ টিকাদান কার্যক্রমে যুক্ত থাকায় রোগীর চিকিৎসায় সমস্যা হচ্ছে। টিকা গ্রহীতা এবং রোগীর চাপ একসঙ্গে সামাল দিতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

বিএসএমএমইউতে করোনাভাইরাসের টিকা নিচ্ছেন এক নারী

মোবাইল ফোনে এসএমএস না পেয়েও অনেকে টিকাকেন্দ্রে ভিড় করেন। আবার অনেকে সিরিয়াল সামনে আনার জন্য তদবির করেন। টিকাদানে যুক্ত কর্মীদের সঙ্গে অনেক সময় অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটছে। ওই ঘটনা সামাল দিতে গিয়ে রোগীর চিকিৎসায় বিঘ্ন ঘটে।

এ বিষয়ে মুগদা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক অসীম কুমার নাথ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবা দেয়া হয়। একই সঙ্গে হাসপাতালে টিকাকেন্দ্র হওয়ায় বাড়তি চাপ পড়েছে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের। যেহেতু এটা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল, সে কারণে এখানে সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি থাকে।

‘করোনার টিকা দেয়ার কারণে শিশুদের যে নিয়মিত টিকাদান কেন্দ্র, সেটি বর্তমানে বন্ধ রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে করোনার টিকাদান কর্মসূচির কারণে হাসপাতালে স্বাভাবিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে। সে কারণে টিকাদান কেন্দ্র অন্য জায়গায় সরানো হলে ভালো হতো।’

এই চিকিৎসকের পরামর্শ, দেশের বিদ্যমান সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) কেন্দ্রগুলোয় যদি করোনার টিকা দেয়া হয়, তাহলে এ সমস্যা সমাধান হবে। তবে এই টিকা ব্যবস্থাপনায় ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন হয়। গ্রাম এলাকার ইপিআই টিকাকেন্দ্রে ইন্টারনেট সংযোগ নেই।

অসীম কুমার নাথ মনে করেন, প্রতিটি জেলায় প্রবাসীদের জন্য একটি করে টিকাকেন্দ্র থাকা উচিত।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম নিউজবাংলাকে বলেন, হাসপাতাল থেকে টিকাকেন্দ্র সরিয়ে নেয়ার একটি পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। বড় কোনো নিয়মিত টিকাদান কর্সসূচির শুরুর আগেই এই টিকাদান কেন্দ্র সরানো হবে। হাসপাতালে টিকাকেন্দ্র হওয়ার কারণে হাসপাতালের সেবা ব্যাহত হচ্ছে, তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতাল থেকে টিকাকেন্দ্র সরিয়ে অন্য জায়গায় নেয়া হবে।

মেডিকেল কলেজের জনবলের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবী ও সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির কর্মীরা মিলে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। যেহেতু আগামী সোমবার মেডিক্যাল কলেজগুলো খুলে দেয়া হচ্ছে, সে কারণে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা শতভাগ রোগীর সেবার মনোনিবেশ করতে পারবেন।

ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘আমাদের এতদিন ধরে বড় ভয় ছিল টিকা নেয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় কি না, যার জন্য ইমিডিয়েট হাসপাতাল সার্পোট লাগবে। কিন্তু আমরা দেখলাম গত কয়েক মাসে টিকা দেয়ার পর সে রকম মেজর কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। আর সে ক্ষেত্রে যদি হাসপাতালগুলোকে ফ্রি না করি, তাহলে প্রতিটি হাসপাতালেই স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যহত হচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর