করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু কিছুটা বাড়লেও শনাক্তের সংখ্যা ও পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হারের আরও উন্নতি হয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত দেশে আরও ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে ভাইরাসটিতে, আগের দিন যা ছিল ৩৮ জন। এই সময়ে সংক্রমণ ধরা পড়েছে আরও ১ হাজার ৩২৭ জনের দেহে। এটি ২৯ মের পর সর্বনিম্ন। সেদিন ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৪৩ জনের দেহে ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্তের কথা জানানো হয়েছিল।
সেদিন পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণের হার ছিল ৭ দশমিক ৯১ শতাংশ, যা গত ২৪ ঘণ্টায় ছিল ৭ দশমিক ০৩ শতাংশ।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পর সংক্রমণের হার কখনোই এতটা নিচে নামেনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে শনিবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। দেশে এ পর্যন্ত করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১৫ লাখ ২৮ হাজার ৫৪২ জনের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৬ হাজার ৮৮০ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ২২ জন, নারী ২৬ জন। এ নিয়ে ১২ বারের মতো পুরুষের তুলনায় নারীর মৃত্যু বেশি হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব ১, চল্লিশোর্ধ্ব ৪, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৩, ষাটোর্ধ্ব ১৭, সত্তরোর্ধ্ব ৯ ও তারও বেশি বয়সী ৪ জন।
বিভাগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এর পরই রয়েছে চট্টগ্রাম। এই বিভাগে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া খুলনায় ২ জন, রাজশাহীতে ৪, সিলেটে ২, রংপুরে ৪, ময়মনসিংহে ১ ও বরিশালের ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছে ৩ হাজার ১৬৮ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১৪ লাখ ৭৫ হাজার ২৩৫ জন। সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৫১।
দেশে এখন করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের পথে। টানা ১৩ দিন মৃত্যু ১০০-এর নিচে। একই সঙ্গে কমে আসছে সংক্রমণ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী কোনো দেশে ২০ হাজার নমুনা পরীক্ষায় যদি ৫ শতাংশের নিচে সংক্রমণ ধরা পড়ে এবং তা যদি দুই সপ্তাহ পর্যন্ত একই অবস্থায় থাকে, তাহলে বলা হয় যে সেই দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে।
এই হিসেবে আরও ২ শতাংশ শনাক্তের হার কমার অপেক্ষায় থাকতে হবে। তবে সরকার একধরনের ঝুঁকি নিয়েই রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিচ্ছে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মানতে হবে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন, সংক্রমণ বাড়লে ফের বন্ধ করে দেয়া হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।