রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে অর্ধশতাধিক শামুকখোল পাখির বাচ্চার মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রাজশাহীর বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির গত মঙ্গলবার জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে মামলাটি করেন। তবে বিষয়টি জানা যায় শুক্রবার।
মামলার বাদি বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির শুক্রবার রাতে বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় মামলা করা হয়েছে। পাখি হত্যার ঘটনায় তিন কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে আমরা অভিযোগ করেছি। আদালত কোনো নির্দেশনা দেয়নি।’
মামলায় বলা হয়েছে, রামেক হাসপাতালে ৮০টি পাখি হত্যা ও আবাসস্থল ধ্বংসে আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ এক কোটি টাকা। আর পাখিগুলো হত্যায় পরিবেশের ক্ষতি হয়েছে আরও দুই কোটি টাকার।
মামলায় রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিবাদী করা হয়েছে। তবে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ‘আপনার কাছে মামলার বিষয়ে প্রথম শুনলাম। এটি আমার জানা নেই।’
এর আগে ৪ সেপ্টেম্বর হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ড্রেন নির্মাণের জন্য একটি অর্জুন গাছ কাটা হলে শামুকখোল পাখির উড়তে না শেখা বেশ কিছু বাচ্চা মাটিতে পড়ে। এতে কিছু বাচ্চা সঙ্গে সঙ্গে মারা যায়। আর কিছু খাওয়ার জন্য নিয়ে যান শ্রমিক ও রোগীর স্বজনরা।
এর প্রতিবাদে রাজশাহী, নাটোর ও নওগাঁয় পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠন মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে।
এ বিষয়ে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী ওই দিন বলেন, ‘বৃষ্টিতে পানি জমছিল। তাই সেখান দিয়ে একটি ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছিল। নির্মাণ অংশে গাছের কিছু অংশ পড়ে। শ্রমিকরা তাই গাছের শিকড় কেটে দেয়। এতেই গাছটি পড়ে যায়। সেখানে পাখির বাসা ছিল। বড় পাখি উড়ে গেলেও ছোটগুলো পড়ে যায়।’