বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জেএমবি নেতা উজ্জ্বল মাস্টার রিমান্ডে

  •    
  • ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২০:৫১

এমদাদুল হক ওরফে উজ্জ্বল মাস্টারকে গ্রেপ্তারের পর র‍্যাব জানায়, ময়মনসিংহের একটি কলেজ থেকে বিএ পাস করে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন এমদাদুল। কিন্তু জড়িয়ে যান উগ্রবাদী সংগঠনের সঙ্গে। আর জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তাকে সেই চাকরি থেকে বাদ দেয়া হয়।

নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন (জেএমবি) নেতা এমদাদুল হক ওরফে উজ্জ্বল মাস্টারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তিন দিনের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

মোহাম্মদপুরের বছিলার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার উজ্জ্বল মাস্টারকে আদালতে হাজির করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক শাকিল জোয়ার্দ্দার আসামিকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ১০ দিনের হেফাজতে নিতে আবেদন করেন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী কেউ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তার শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ড আবেদনে পুলিশ জানায়, আসামি দীর্ঘদিন ধরে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের সদস্য হিসেবে কাজ করে আসছেন। তিনি আত্মঘাতী কাজে জড়ানো ও জিহাদের জন্য মানুষকে প্ররোচিত করতেন। ধর্মীয় উগ্রবাদের বই সরবরাহ করতেন অনুসারীদের মাঝে।

রাজধানীর বছিলা এলাকায় সিটি ডেভেলপমেন্ট হাউজিংয়ের একটি আবাসিক ভবন থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে গ্রেপ্তার করা হয় বিভক্ত জেএমবির একটি গ্রুপের নেতা এমদাদুল হক ওরফে উজ্জ্বল মাস্টারকে।

অভিযানকালে একটি পিস্তল, গুলি, বিস্ফোরক, নগদ পৌনে তিন লাখ টাকা, রাসায়নিক দ্রব্য, দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, বেশ কিছু জিহাদি ও ইসলামি উগ্রবাদের বই জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর র‍্যাব জানায়, ময়মনসিংহের একটি কলেজ থেকে বিএ পাস করে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন এমদাদুল হক। কিন্তু জড়িয়ে যান উগ্রবাদী সংগঠনের সঙ্গে, আর জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তাকে সেই চাকরি থেকে বাদ দেয়া হয়।

র‌্যাব কর্মকর্তা জানান, ২০০২ সালে মুক্তাগাছায় একজন জঙ্গি নেতার বয়ান শুনে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হন এমদাদুল। পরে জঙ্গি সংগঠন জেএমবির প্রধান শায়খ আব্দুর রহমানের কাছে দীক্ষা লাভ করেন। জামালপুরে একটি আস্তানায় সামরিক প্রশিক্ষণও গ্রহণ করেন। জঙ্গিবাদে ব্যাপক তৎপরতা থাকায় এমদাদুল দ্রুত ময়মনসিংহ অঞ্চলের নেতা হয়ে ওঠেন। ২০০৩ সালে মুক্তাগাছায় ব্র্যাক অফিসে ডাকাতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ছিল তার। ২০০৭ সালে এমদাদুল হক তার নিকটাত্মীয় রফিক মাস্টারকে হত্যা করেন বলে তথ্য পেয়েছে র‌্যাব।

উজ্জ্বল মাস্টার ২০০৮ সাল থেকে ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় নাম পরিবর্তন করে ছদ্মবেশে অবস্থান করেন। তিনি কাপড়ের দোকানের কর্মচারী, খেলনা বিক্রেতা, ফেরিওয়ালা, রিকশাচালক ও রাজমিস্ত্রির পরিচয়ে থাকেন। সর্বশেষ রাজধানীর বছিলা এলাকায় ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর