পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ার ডিজিটালাইজেশনের অংশ হিসেবে টেলিটকের সঙ্গে সই হয়েছে চুক্তি। এখন থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়ার অধিকাংশ কাজ হবে অনলাইনে।
পুলিশ ও টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি সই হয়েছে।
পুলিশ নিয়োগে নতুন এ অধ্যায় প্রসঙ্গে অনুষ্ঠানে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ প্রতিটি ক্ষেত্রে এখন ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বাক্ষর বহন করে চলেছে। নতুন নিয়মে কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এটি আইজিপির ‘ব্রেইন চাইল্ড’। এ প্রক্রিয়ায় আমরা অধিক সক্ষম, যোগ্য ও সৎ পুলিশ সদস্যের উন্নত সেবা পাব বলে আশাবাদী।’
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘নতুন নিয়মে পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর, সার্জেন্ট ও কনস্টেবল নিয়োগ হবে। ফলে মেধা ও শারীরিক সক্ষমতার ক্ষেত্রে যোগ্যতর লোক বাহিনীতে আসবে। পার্শ্ববর্তী দেশ ও উন্নত দেশের নিয়োগ প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করে এবং বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে পুলিশের নতুন নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।’
নতুন নিয়োগ নীতিমালা অনুমোদন করায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সচিবসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা নতুন সেবার দ্বার উন্মোচন করলেন। এর ফলে দেশের ১৮ কোটি মানুষ উপকৃত হবে। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় আমরা ২০৪১ সালের উন্নত দেশের উপযোগী পুলিশ গড়তে কাজ করছি। আমরা বিশ বছর মেয়াদের উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছি।’
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আফজাল হোসেন বলেন, ‘বিগত এক দশকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ ব্যাপক উন্নতি করেছে। উন্নত বাংলাদেশ গড়তে পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। পুলিশের নিয়োগে নতুন এ প্রক্রিয়া সে অগ্রযাত্রার অন্যতম ধাপ।’
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, পুলিশ ও টেলিটকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।