জনগণ বিএনপির অস্তিত্ব নিয়ে সন্দিহান বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, তারা জন সমর্থন হারিয়ে গণ হতাশায় ভুগছে।
বিএনপি তার ভাষায় কেন জনসমর্থন হারিয়েছে, সেটিও উল্লেখ করেছেন কাদের। বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ, স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুদের সঙ্গে মিত্রতা আর প্রতিক্রিয়াশীল প্রশ্রয় দেয়াই’ এর কারণ।
বিএনপি নেতারা যে সরকার পতনের জন্য আন্দোলনের কথা বলছেন, তাকে ‘দিবাস্বপ্ন’ হিসেবেও উল্লেখ করেন কাদের।
সকালে রাজধানীর সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখছিলেন আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণের প্রশ্ন বিএনপি কি এখন বিএনপি আছে? সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ আর স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুদের সঙ্গে সখ্যতা করতে গিয়ে বিএনপি এখন নিজ চরিত্র হারিয়েছে। প্রতিক্রিয়াশীলদের প্রশ্রয় দিয়ে নিজেরাই জনগণের কাছ থেকে আশ্রয় হারিয়েছে।’
ইতিহাস বিকৃতি, আগুন সন্ত্রাস আর ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বিএনপিকে গিলে খেতে বসেছে জানিয়ে কাদের বলেন, ‘অন্ধ সমালোচনা আর বিষোদগার রাজনীতি ফ্রাংকেনস্টাইন হয়ে নিজেদেরকেই আঘাত করছে।’
তিনি বলেন, ‘জনগণের কাছে কখনও বাংলাদেশ নালিশ পার্টি, আবার কখনও ষড়যন্ত্রবাদী দল হিসেবে পরিচিত বিএনপি এখন জাতীয় হতাশাবাদী দলে রূপ নিয়েছে। যে অপরাজনীতি ও নেতিবাচক রাজনীতি অব্যাহত রেখেছে তাতে বিএনপি ক্রমশ হতাশার গভীরেই নিমজ্জিত হচ্ছে।’
নিজেদের ভাবনা ছেড়ে বিএনপি এখন আওয়ামী লীগকে নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে বলেও মনে করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক।
বলেন, ‘বিএনপি নেতারা বলছেন, রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগ নাকি দেউলিয়া হয়ে পড়েছে। এসব আষাঢ়ে গল্পের অবতারণা করে তারা আত্মতৃপ্তি বোধ করছেন কিংবা আত্মতুষ্টিতে ভোগার চেষ্টা করছেন। নিজেদের চরম ব্যর্থতা ঢাকতে এসব কাল্পনিক ও অন্তঃসারশূন্য বাক্য-চর্চা তাদের পুরোনো অভ্যাস।’
জনপ্রত্যাশা থেকে ছিটকে পড়ে বিএনপি এখন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা পেতে মরিয়া বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, ‘বিএনপি গণ অভ্যুত্থানের খোয়াব দেখছে। এ গণ হতাশা তাদের রাজনৈতিক নিমজ্জনকে অনিবার্য করে তুলেছে। সেজন্য তারা শর্ষে ফুল দেখছে চোখে। আর তাই জনসমর্থন তলানিতে পৌঁছে যাওয়ায় বিএনপি এখন আওয়ামী লীগ দেউলিয়া হয়ে গেছে বলে দিবাস্বপ্ন দেখছে। তাদের এমন ভাবনা জনপ্রত্যাখ্যান থেকে সৃষ্ট প্রলাপ মাত্র।’
সড়ক মন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কোন ভূঁইফোড় সংগঠন নয় যে, কারো যোগসাজশে দেশ চালাত হবে। শেখ হাসিনা জনমানুষের আস্থা এবং সমর্থন নিয়েই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।’
দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা আওয়ামী লীগ এখন ‘রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে’ রূপ নিয়ে জানিয়ে কাদের বলেন, ‘এ দেশের মানুষ জানে আওয়ামী লীগ শোষণ করে না, বরং দেশকে শোষণমুক্ত করেছে। জনগণের সম্পদ লুটপাট করে না, বরং মানুষের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে আওয়ামী লীগ।’
তিনি বলেন, ‘শোষণ, নিপীড়ন, লুটপাট, জনগণকে তোয়াক্কা না করা- বিএনপিরই চর্চিত রাজনীতি। এসব তাদের হাতিয়ার।’