বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নওগাঁয় গোয়ালী বিলে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ

  •    
  • ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৩:০০

আয়োজক কমিটির সদস্য আব্দুর রউফ টুকু জানান, গ্রামীণ ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে এবং মানুষকে আনন্দ দিতেই প্রতিবছরের মতো এবারও নৌকাবাইচের আয়োজন করা হয়। আজকের প্রতিযোগিতার ফলাফল ড্র হয়েছে। চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা হবে শুক্রবার বিকেলে।

নদীমাতৃক বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, আনন্দ আয়োজন, উৎসব ও খেলাধুলা সবকিছুতেই নদী ও নৌকার সরব আনাগোনা। বন্যার পানি নদী বা বিলে ঢোকার পর চারদিক যখন থইথই, তখন গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বাইচে নৌকার বৈঠার ছলাৎ ছলাৎ শব্দ আর মাঝি-মাল্লাদের নাচ-গানে মুখরিত হয়ে ওঠে চারপাশ।

নওগাঁর সদর উপজেলার শৈলগাছী ইউনিয়নের গোয়ালী বিলে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা। এতে অংশ নেয় বিভিন্ন এলাকার ৮টি নৌকা।

নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন। ছবি: নিউজবাংলা

এ সময় করতালি দিয়ে প্রতিযোগীদের উৎসাহ দেন তারা। বিপুল দর্শকের সমাগমে খুশি প্রতিযোগীরাও। ১৬তম এই নৌকাবাইচের আয়োজন করেন গুমারদহ এলাকাবাসী। প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন। প্রতিযোগিতা চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

করোনাভাইরাসের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে নৌকাবাইচ উপভোগ করতে এসেছেন হাজারো বিনোদনপ্রেমী। দীর্ঘদিন লকডাউনে ঘরবন্দি থাকার পর একটু বিনোদনের আশায় এখানে এসেছেন তারা।

নওগাঁ শহরের মাস্টারপাড়া থেকে নৌকাবাইচ দেখতে এসেছেন আসমা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, ‘নৌকাবাইচ দেখে খুব আনন্দ পেয়েছি। করোনা আর লকডাউনের কারণে গত বছর থেকে ঠিকমতো বের হতে পারিনি। নৌকাবাইচ দেখে মনটা কিছুটা ফ্রেস হয়েছে।’

স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে নৌকাবাইচ দেখতে এসেছেন নওগাঁ সদরের দুবলহাটি তরিকুল দেওয়ান। তিনি বলেন, ‘সন্তানদের গ্রামীণ এই খেলার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে তাদের নিয়ে এসেছি। ওরা দেখে খুব আনন্দ পেয়েছে। এমন আয়োজন উপহার দেয়ার জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই।’

নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী কমল সরকার বলেন, ‘একন বিলোত মেল্যা পানি তাই প্রতিযোগিতাডা হলো। আজক্য প্রতিযোগিতা ড্র হচে। কাল ফাইনাল খেলা হবে। জয়-পরাজয় যাই হোক হামরা সবাই মিলা আনন্দ করা খেলবার পারিচ্ছি। আর সবাক এ্যানা বিনোদন দিবার পারিচ্ছি, এডাই ভালো লাগা।’

আয়োজক কমিটির সদস্য আব্দুর রউফ টুকু জানান, গ্রামীণ ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে এবং মানুষকে আনন্দ দিতেই প্রতিবছরের মতো এবারও নৌকাবাইচের আয়োজন করা হয়। আজকের প্রতিযোগিতার ফলাফল ড্র হয়েছে। চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা হবে শুক্রবার বিকেলে।

আবহমান গ্রাম-বাংলার সংস্কৃতি ধরে রাখতে প্রতিবছর এখানে নৌকাবাইচের আয়োজন হবে বলেও জানান তিনি।

সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন বলেন, ‘হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সংস্করণ এই নৌকাবাইচ। নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা দেখে খুবই মুগ্ধ হয়েছি। বহু মানুষ নৌকাবাইচ দেখতে এসেছেন। সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ঐতিহ্যবাহী এই নৌকাবাইচ আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।

এ বিভাগের আরো খবর