এহ্সান গ্রুপের চেয়ারম্যান রাগীব আহসান ও তার সহযোগীকে ১৭ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (এএসপি) ইমরান খান শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এহ্সান গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ বিষয়ে ব্রিফ করে বিস্তারিত জানানো হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার এহ্সান গ্রুপের আরও দুই জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পিরোজপুরের সদর উপজেলার খলিশাখালী গ্রামের বাড়ি থেকে আবুল বাসার ও মাহমুদুল হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার বাসার ও মাহমুদুল এহ্সান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাগীব আহসানের ভাই।
পিরোজপুর সদর উপজেলার খলিশাখালী এলাকায় ২০১০ সালে শুরু হয় এহ্সান রিয়েল এস্টেট নামের একটি প্রতিষ্ঠান। পরে কোম্পানির নাম পরিবর্তন করা হয়।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৩ থেকে ১৪ বছর আগে একটি মসজিদে নামমাত্র বেতনে ইমামতি করতেন মুফতি রাগীব আহসান। পরে ইমামতি ছেড়ে কাজ নেন একটি এমএলএম কোম্পানিতে। সেখানকার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে গড়ে তোলেন এহ্সান রিয়েল এস্টেট। এখন এর নাম এহ্সান গ্রুপ পিরোজপুর। এ গ্রুপের অধীনে রাগীব গড়ে তোলেন ১৪টি প্রতিষ্ঠান।
ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্মভীরু লোকজনের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটির মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা।
গ্রাহকদের বলা হয়, এক লাখ টাকার বিপরীতে মাসে দুই হাজার টাকা মুনাফা দেয়া হবে।
এভাবে ১০ হাজার জনের কাছ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা নেয়া হয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী দাবি করা গ্রাহকদের।
এহসান গ্রুপের জালিয়াতির বিষয়টি তদন্তে জেলা প্রশাসন একটি কমিটিও গঠন করে। সে তদন্তে জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া গেছে।
সমবায় দপ্তর থেকে নেয়া লাইসেন্সের শর্ত ভেঙে সংগ্রহ করা আমানত গ্রাহকদের ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানান পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন।