করোনা সংক্রমণ শুরুর পর প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গোপালগঞ্জ জেলাতেই বন্ধ রয়েছে প্রায় ১ হাজার ২০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেঞ্চ, চেয়ার, টেবিল, ব্ল্যাকবোর্ড, অফিস কক্ষে জমেছে ধুলাবালি। অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে ক্লাসরুম ও খেলার মাঠ।
স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্তের পর সারা দেশের মতো এই জেলাতেও চলছে পাঠদানের প্রস্তুতি। ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করা হচ্ছে শ্রেণিকক্ষ, ব্ল্যাকবোর্ড। চলছে এলোমেলো বেঞ্চ সাজিয়ে রাখার কাজ।
জেলার ৮৬২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২০৩টি মাধ্যমিক, ৮৯টি মাদ্রাসা ও শতাধিক কিন্ডার গার্ডেন স্কুলে চলছে এই কর্মযজ্ঞ।
শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য বিদ্যালয় ভবনে প্রস্তুত করা হচ্ছে আলাদা কক্ষ।
জোর দেয়া হচ্ছে মাস্ক পরা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার ও হাত ধোয়ার ওপর। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সাবান ও পানির সরবরাহ নিশ্চিত করার চেষ্টাও চলছে স্কুলগুলোতে।
শিক্ষকরা বলছেন, শ্রেণিকক্ষে ঢোকার আগে শিক্ষার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা ও অক্সিজেন লেভেল পরীক্ষা করা হবে।
স্কুল খোলার সিদ্ধান্তে খুশি শিক্ষার্থীরা। তারা বলছে, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় পড়ালেখার যে ক্ষতি হয়েছে, এখন তা কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারবে।