বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

২৫ টাকায় পানি পরিশোধন, ১৫ টাকায় বিক্রি চলতে পারে না

  •    
  • ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২০:১৫

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা ওয়াসার পানি পরিশোধনে খরচ পড়ে ২২-২৫ টাকা (প্রতি এক হাজার লিটারে)। আর তারা বিক্রি করছে ১৫ টাকায়। এভাবে ভর্তুকি দিয়ে কোন প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না।’

ঢাকা ওয়াসা নাগরিকদেরকে যে টাকায় পানি সরবরাহ করে, পরিশোধন ব্যয় তার দেড় গুণ জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘এভাবে কোনো প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না।’

বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ঢাকা ওয়াসা আয়োজিত ‘গন্ধবপুর ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট’ নির্মাণে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশ দেন।

ঢাকা ওয়াসার পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান ও চায়না জিও ইঞ্জিনিয়ারিং কো-অপরেশন কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্ট ওইন ইয়ং চুক্তিতে সই করেন।

প্রকল্পের আওতায় বারিধারা ক্রসিং থেকে রামপুরা ও বারিধারা থেকে এয়ারপোর্ট রোড, উত্তরা, গুলশান, বনানী ও কচুক্ষেত এলাকায় পানি সরবরাহ লাইন নির্মাণ করা হবে। এই প্যাকেজে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫১৮ কোটি টাকা।

ঢাকা ওয়াসা ভর্তুকি দিয়ে পানি বিক্রি করছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা ওয়াসার পানি উৎপাদনে খরচ পড়ে ২২-২৫ টাকা (প্রতি এক হাজার লিটারে)। আর তারা বিক্রি করছে ১৫ টাকায়। এভাবে ভর্তুকি দিয়ে কোনো প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না।’

রাজধানীতে সরবরাহের ক্ষেত্রে মাটির উপরিভাগের পানির ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে ৬৬ শতাংশ মাটির নিচের আর বাকি ৩৪ শতাংশ পানি দেয়া হচ্ছে ওপরিভাগ থেকে। তবে টেকসই সমাধানের জন্য অন্তত ৭০ শতাংশ উপরিভাগের এবং ৩০ শতাংশ আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়াটারের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছি।’

অনুষ্ঠানে ওয়াসাসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের সব প্রতিষ্ঠানকে চলমান প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করার তাগিদ দেন মন্ত্রী। সারাদেশে নিরাপদ পানি সরবরাহে ‘ন্যাশনাল ওয়াটার গ্রিড লাইন’ চালুর কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘প্রকল্পের জন্য যেহেতু বৈদেশিক সহযোগিতা নেয়া হয়, সেজন্য প্রকল্পের কাজ যথা সময়ে শেষ করতে হবে।’

উপকূলীয় অঞ্চলে সুপেয় পানির স্বল্পতা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “কারণ, সেখানে লবণাক্ত পানিসহ অসংখ্য সমস্যা রয়েছে। সেজন্য নিরাপদ পানি সরবরাহের জন্য সারাদেশে ‘ন্যাশনাল ওয়াটার গ্রিড লাইন’ তৈরির জন্য চেষ্টা করছি, এটি নিয়ে আমরা কাজ করছি।”

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ও ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা ছাড়া প্রকল্প পরিচালকসহ ওয়াসার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর