তালেবানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে ভারত কিংবা পাকিস্তানের সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
জেনেভা-লন্ডন-হেগ ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
মোমেন বলেন, ‘আফগান ইস্যুতে সবাই আমাকে জিজ্ঞেস করেছে, আমাদের পজিশন কী। বিবিসি জানতে চেয়েছে ভারত বা পাকিস্তান যেটা করবে আমরা সেটা করব কি না? আমরা তাদের ফলো করব কি না! আমরা বলেছি, অন্যরা কে কী করল সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। আমাদের নিজ দেশের ওয়েলফেয়ার আছে। আমাদের নিজেদের সিদ্ধান্ত আমরা নেব।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলেছি, আফগানিস্তান আমাদের সার্কের সদস্য। তাদের সঙ্গে আমাদের কিছু ঐতিহাসিক সম্পর্ক আছে, কিন্তু গত টার্মে আমরা দেখেছি আমাদের দেশের অনেক মানুষ সেখানে গিয়ে সন্ত্রাসে অংশ নিয়েছে। আমরা এই বিষয়ে জিরো টলারেন্স। কোনোভাবেই সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেব না।’
মোমেন জানান, আফগানিস্তান ইস্যুতে বাংলাদেশ এখন পর্যবেক্ষণে আছে। সে দেশের জনগণ যে সরকার গঠন করবে, ঢাকাও সেই সরকারকে স্বীকৃতি দেবে।
তিনি বলেন, ‘তারা বলেছে, নতুন সরকারকে আমরা স্বীকৃতি করব কি না? আমরা বলেছি, তাদের অবস্থা, তাদের অ্যাটিচুড, তাদের নীতি, প্রজেক্টস এগুলো আগে দেখি, দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। আমরাও চাই আফগানের উন্নতি হোক। আমরা বিশ্বাস করি গণতন্ত্রে। বৃহত্তর জনগণের ইচ্ছায় যদি সরকার গঠন হয় আমরা সেটাকে অনুপ্রাণিত করব। আমরা সেটাকে স্বাগত জানাব। আমরা এ সম্পর্কে কোনো সিদ্ধান্ত নেই নাই।
‘আমাদের যারা ওখানে ছিল তারা বের হয়ে আসছে, কিন্তু বিগত তালেবান সরকারের আমলে আমাদের দেশের কিছু লোক ওখানে গিয়ে আমাদের দেশে সন্ত্রাস করেছে। আমাদের জিরো টলারেন্স, আমরা কোনোভাবে কোনো সন্ত্রাসীকে প্রশ্রয় দেব না।’
তালেবান যোদ্ধাদের দখলের মধ্যে আফগানিস্তানের পলায়নপর নাগরিকদের যুক্তরাজ্য ও নেদারল্যান্ডস আশ্রয় দেবে কি না, এমন প্রশ্নে দেশ দুটি সফর করে আসা মোমেন বলেন, ‘ইংলান্ড ও নেদারল্যান্ডস বলেছে, তারা কয়েকজনকে নেবে। আমি বলেছি, রোহিঙ্গাদের তো আপনারা নেন নাই। ১১ লাখ রোহিঙ্গা পড়ে আছে। ভালো সংবাদ হচ্ছে, তারা রোহিঙ্গাদের নিয়ে সোচ্চার হবেন বলেছেন।’