প্রায় ১৭ মাস পর খুলতে যাওয়া স্কুল-কলেজে নির্দিষ্ট শ্রেণিতে প্রতিদিন দুটি ক্লাস হবে। অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে এক দিন ক্লাস হলেও এসএসসি, এইচএসসি ও পিইসি পরীক্ষার্থীদের প্রতিদিন ক্লাস করতে হবে।
ক্লাসের সময়সূচি প্রণয়নের জন্য বুধবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এমন নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
নির্দেশনায় বলা হয়, ২০২১ ও ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং প্রাথমিকের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসবে। আর প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে এক দিন ক্লাসে আসবে।
সময়সূচির সঙ্গে মিল রেখে ব্যবহারিক ক্লাসগুলোও নির্ধারণ করা যেতে পারে। যেসব প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তর সংযুক্ত রয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠান ওই সব স্তরের জন্য নির্ধারিত ক্লাসগুলো সমন্বয় করে সময়সূচি প্রণয়ন করবে।
আর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো চলমান স্নাতক (পাস), স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষার সঙ্গে সমন্বয় করে ২০২১ ও ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য সময়সূচি করে শ্রেণি কার্যক্রম চালাবে।
নির্দেশনায় বলা হয়, সময়সূচি প্রণয়নের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকতে, বের হতে বা অবস্থানের সময় স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের মতো বিষয় যেন না ঘটে।
সময়সূচি এমনভাবে তৈরি করতে হবে, যেন বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠানে ঢুকতে ও বের হতে পারে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আপাতত প্রাতঃসমাবেশ (অ্যাসেম্বলি) বন্ধ থাকবে এবং প্রতিদিন নির্ধারিত চেকলিস্ট অনুযায়ী তথ্য পাঠাতে হবে।
পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত ক্লাসের সময়সূচি প্রণয়নের ক্ষেত্রে এসব বিষয় মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছে মাউশি।
অপর এক আদেশে মাউশি সারা দেশে বন্যাকবলিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীর তথ্য ছক আকারে পাঠাতে বলেছে।
স্কুল-কলেজ খোলা ও ক্লাস নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এর আগে প্রায় অভিন্ন তথ্য দিয়েছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যারা ২০২১ সালে এসএসসি-এইচএসসি আর আগামী বছরের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থী, তারা প্রতিদিন ক্লাসে আসবে। এ ছাড়া অন্যান্য ক্লাস এক দিন চলবে। একইভাবে প্রাথমিকের পঞ্চম শ্রেণি প্রতিদিন এবং অন্যান্য ক্লাস সপ্তাহে এক দিন চলবে।’
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়ার পর ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় বাড়ানো হয় ছুটির মেয়াদ। সর্বশেষ ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয়। এই ছুটি শেষে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে খুলবে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
পরের দিন থেকে খোলা হবে মেডিক্যাল, ডেন্টাল ও নার্সিংবিষয়ক সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।