করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা গত ৮৩ দিনের মধ্যে সবচেয়ে কম। এই সময়ে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ২ হাজার ৪৯৭ জনের দেহে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বুধবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দেশে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ২২ হাজার ৩০২ জনের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৬ হাজার ৭৩৬ জনের।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্ত হার ৯ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ, যা ১০২ দিনের মধ্যে সবচেয়ে কম। এর চেয়ে কম শনাক্তের হার ছিল ২৮ মে; সেদিন শনাক্তের হার ছিল ৯ দশমিক ৩।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে মুক্তি লাভ করেছেন ৩ হাজার ৮৪০ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১৪ লাখ ৬৪ হাজার ৩ জন। সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ২১।
গত একদিনে মৃতদের মধ্যে পুরুষ ২০ জন, নারী ৩২ জন। এই নিয়ে ১২ বারের মতো পুরুষের চেয়ে নারী বেশি মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে বিশোর্ধ্ব ৩, ত্রিশোর্ধ্ব ৩, চল্লিশোর্ধ্ব ৮, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৪ ও ষাটোর্ধ্ব ১৬, সত্তরোর্ধ্ব ৬ ও অশীতিপর ২ জন।
বিভাগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এরপরই রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ, ১৫ জন। এছাড়া খুলনায় ৬ জন, রাজশাহীতে ১, বরিশালে ২, সিলেটে ৩, রংপুরে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত মার্চ থেকে ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার মাস পাঁচেক পর সম্প্রতি পরিস্থিতির উন্নতির চিত্র দেখা যাচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরেই ধারাবাহিকভাবে কমছে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা। সেই সঙ্গে কমছে শনাক্তের হার।
গত এপ্রিল, মে, জুন ও জুলাই মাসে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২০ ছাড়িয়ে এক পর্যায়ে ৩০ শতাংশও ছাড়িয়ে যায়। এই অবস্থায় এপ্রিলে লকডাউন ও পরে জুলাইয়ে দেয়া হয় শাটডাউন নামে বিধিনিষেধ।
গত ১১ আগস্ট থেকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হলেও এরপর থেকে রোগী ও মৃত্যু ধীরে ধীরে কমে আসছে। শাটডাউন চলাকালে নিয়মিতভাবে ২৪ ঘণ্টায় আড়াইশর বেশি মানুষের মৃত্যুর তথ্য এসেছে। এ ছাড়া করোনা উপসর্গে মারা গেছে আরও বহুজন।
ওই সময়ে প্রথমে রাজশাহী বিভাগ ও পরে খুলনা বিভাগে মৃত্যু ছিল সবচেয়ে বেশি। হাসপাতালগুলোতে রোগীর জায়গা দেয়া যাচ্ছিল না, দেখা দেয় অক্সিজেন সংকট।
বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ তৈরি করা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট প্রথমে ঢাকায় অতটা না ছড়ালেও জুনের শেষ দিকে রাজধানী ও আশেপাশের এলাকাগুলোতেও ছড়াতে থাকে। হাসপাতালে তৈরি হয় ‘ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই অবস্থা। বিশেষ করে আইসিইউ সংকটে রোগীদের স্বজনরা পড়েন দুর্ভোগে। তবে এখন করোনা রোগীর জন্য বরাদ্দ করা হাসপাতালের শয্যার বেশিরভাগ অংশই ফাঁকা পড়ে আছে। আইসিউই ইউনিটগুলোও এখন চাইলেই পাওয়া যাচ্ছে।