বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্টকার্ড দেয়ার নির্দেশ

  •    
  • ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৫:৫১

সংসদের ‘মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র ২১তম বৈঠক থেকে সুপারিশ করা হয়, মহান মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ এবং চেতনা বিকাশে ব্যক্তি, সংগঠন বা সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ অবদান এবং গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকাকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে স্বীকৃতি জানাতে এ বছর প্রবর্তন করা ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’-এর সংখ্যা বাড়ানোর।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকার ঘোষিত যাবতীয় সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তি সহজ ও নির্বিঘ্ন করতে প্রত্যেককে ডিজিটাল সনদ,স্মার্টকার্ড ও একটি মেডেল দেয়ার সুপারিশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।

জাতীয় সংসদ ভবন সচিবালয়ে বুধবার একাদশ জাতীয় সংসদের ‘মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র ২১তম বৈঠক থেকে এ সুপারিশ করা হয়।

এ ছাড়াও মহান মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ এবং চেতনা বিকাশে ব্যক্তি, সংগঠন বা সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ অবদান এবং গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকাকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে স্বীকৃতি জানাতে এ বছর প্রবর্তন করা ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’-এর সংখ্যা বাড়ানোরও সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি শাজাহান খান। কমিটির সদস্য হিসেবে বৈঠকে অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, রাজি উদ্দিন আহমেদ, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, এ বি তাজুল ইসলাম, কাজী ফিরোজ রশীদ এবং ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল।

বৈঠক থেকে মুক্তিযোদ্ধা পদক নীতিমালা, ২০২১ পদকের সংখ্যা আরও বাড়াতে মন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ করে কমিটি।

জাতীয় সংসদ ভবন সচিবালয়ে বুধবার একাদশ জাতীয় সংসদের ‘মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র ২১তম বৈঠক হয়। ছবি: নিউজবাংলা

গত ৯ আগস্ট ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক নীতিমালা-২০২১’-এর প্রজ্ঞাপন জারি করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, সাতটি ক্যাটাগরিতে দেয়া হবে এই রাষ্ট্রীয় পদক।

ক্যাটাগরিগুলো হচ্ছে ‘স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে সংগঠনের ভূমিকা’, ‘সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন’, ‘স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন’, ‘মুক্তিযুদ্ধ বা স্বাধীনতাবিষয়ক সাহিত্য রচনা’, ‘মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র, তথ্যচিত্র, নাটক নির্মাণ বা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড’, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাবিষয়ক গবেষণা’ এবং ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ।’

সরকার চাইলে অন্য কোনো ক্ষেত্রেও এ পদক দেয়া হতে পারে বলে নীতিমালায় উল্লেখ রয়েছে। নীতিমালায় বলা হয়, প্রতি বছরের ১৫ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’ দেয়া হবে।

বিজয়ীরা পাবে ১৮ ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম স্বর্ণ দিয়ে তৈরি একটি পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা এবং দুই লাখ টাকা।

সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দেশের সব মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স অফিসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ওঠানামার সুবিধার্থে কমপ্লেক্সে লিফট বা ক্যাপসুল লিফট স্থাপনে মন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ করা হয়।

এ ছাড়াও রাজধানী সুপার মার্কেটের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম এবং মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের বোর্ড সভায় আলোচিত অপ্রয়োজনীয় ও অব্যবহৃত জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক, বিভিন্ন সংস্থা প্রধানরাসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর