আল্লামা শাহ আহমদ শফীর পর কে হবেন দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক, তা ঠিক করতে চলছে বৈঠক।
মাদ্রাসার ভেতর মজলিসে শুরার এ বৈঠক শুরু হয় বলে জানা গেছে।
শুরা কমিটির এই সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশের শীর্ষ পর্যায়ের কওমি মাদ্রাসা ও ইসলামি দলের নেতাকর্মীদের ব্যাপক কৌতূহল রয়েছে।
এর আগে শুরা কমিটির সদস্য নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা হাবিবুর রহমান কাসেমী নিউজবাংলাকে জানিয়েছিলেন, বুধবার বৈঠক হতে পারে।
শতবর্ষী আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুর পর থেকে গত এক বছর ধরে শূন্য রয়েছে মহাপরিচালক পদটি। এর মধ্যে গত আগস্টে জুনায়েদ বাবুনগরীর মৃত্যু সংকট আরও বাড়িয়েছে।
মাদ্রাসার একটি সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শায়খুল হাদিস ও শিক্ষা পরিচালকসহ বিভিন্ন পদে নতুন লোকজন নিয়োগ দেয়া হতে পারে।
আহমদ শফীর মৃত্যুর পর এককভাবে কাউকে মহাপরিচালক না বানিয়ে তিনজনকে পরিচালনা কমিটির সদস্য করা হয়।
তারা হলেন হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রধান মুফতি আবদুস সালাম, সহকারী পরিচালক মাওলানা শেখ আহমদ ও মাওলানা ইয়াহইয়া।
এ ছাড়া মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীকে শিক্ষা পরিচালক ও শায়খুল হাদিস হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
গত ১৯ আগস্ট বাবুনগরীর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে ওই পদ দুটিও শূন্য হয়।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে মাদ্রাসার এক জ্যেষ্ঠ শিক্ষক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হুজুরের (আল্লামা শফী) জায়গা পূরণ হওয়ার নয়। তারপরও নিয়মতান্ত্রিকভাবে সব শূন্য পদ পূরণ করবে শুরা কমিটি।’
বৈঠককে কেন্দ্র করে মাদ্রাসা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন দেখা গেছে সকাল থেকে।
মাদ্রাসার একটি সূত্র জানায়, বৈঠক নিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষক, ছাত্র ও স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা উত্তেজনা আছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও শুরা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনজনের বর্তমান প্যানেল থেকে সবচেয়ে প্রবীণ মুফতি আব্দুস সালাম চাটগামীকে মহাপরিচালক করা হবে বলে জোর আলোচনা চলছে। পাশাপাশি মাওলানা শেখ আহমদকে প্রধান শায়খুল হাদিস এবং মাওলানা ইয়াহইয়াকে সহকারী পরিচালক করা হতে পারে।